সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম। তবে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে পাল্লা দিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসকদেরও।
করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বিশ্বের দরবারে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা (America)। তারপর যথাক্রমে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত। তবে চিকিৎসকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে ট্রাম্পের দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৫৫ হাজার মানুষ! যা দেখে রীতিমতো বিশেষজ্ঞদের চোখ কপালে উঠেছে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২৮লক্ষ ৩৭হাজার ১৮৯ জন। এখনও পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১লক্ষ ৩১হাজার ৪৮৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ লক্ষ ৯১হাজার ৯১ জন। গত ১৯ জুন ব্রাজিলে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৪,৭৭১ জন। সেই রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকায় ৫৫ হাজার করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। রয়টার্সের একটি ট্যালি থেকে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় (Florida) রাতারাতি কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক হয়ে ওঠে। তাতেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
[আরও পড়ুন:করোনা মোকাবিলায় মানবদেহে পরীক্ষার ছাড়পত্র পেল আর এক ভারতীয় সংস্থার তৈরি টিকা]
তবে কেন এই সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সেই প্রশ্ন জাগতেই পারে সকলের মনে। সেই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউচি (Anthony Fauci) এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, “করোনা ভাইরাস জিনের গঠনগত বদল ঘটাচ্ছে। ফলে ভাইরাসের শরীরে অ্যামাইনো অ্যাসিডের সিকুয়েন্সেরও বদল ঘটছে। এর জেরেই ভাইরাস যখন মানুষের শরীরে বিভাজিত হচ্ছে তার প্রতিটি নতুন স্ট্রেনই হয়ে উঠছে আরও বেশি শক্তিশালী। তা আরও বেশি মানুষকে সংক্রমিত করে তুলছে।” জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজিত অনলাইন কনফারেন্সে করোনার জেনেটিক মিউটেশন নিয়ে এই নতুন তথ্য তুলে ধরেন ফাউচি ।
[আরও পড়ুন:OMG! চায়ের নেশায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলেন করোনা আক্রান্ত, তারপর…]
প্রশ্ন হল, হঠাৎ এই ভাইরাসের জিনের গঠনগত বদলের কারণ কী? তার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসের মানুষের শরীরের নানা অঙ্গে সংক্রমণ ছড়ানোর ইচ্ছাকেই ইঙ্গিত করছেন। ভাইরোলজিস্টরা বলেন, “যে ভাইরাল স্ট্রেন ফুসফুসে ঢুকতে পারবে, তা চট করে লিভার বা হার্টের কোষে ঢুকতে পারবে না। তাই সংক্রমণের শুরুতেই দেখা যাচ্ছিল সার্স-কভ-২ ভাইরাস ফুসফুসের সংক্রমণই বেশি ঘটাচ্ছে। আর ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছিলেন বেশিরভাগ করোনা রোগীরা।” তবে ভাইরাল জিনোমগুলি পরপর বিশ্লেষণ করতে বসে এখনও তল খুঁজে পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। একেবারে প্রথমের দিকে এর গঠন কেমন ছিল, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরে আর কী কী পরিবর্তন হতে পারে সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও বিশ বাঁও জলে।
The post সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে রেকর্ড গড়ল আমেরিকা! একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৫৫ হাজারের বেশি appeared first on Sangbad Pratidin.