সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই,পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন” — বাংলার এই প্রবাদ ব্রিটিশ দম্পতির পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে প্রবাদটি কিছুটা হলেও তাঁদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে মিলে যায়। ছাই নয়, রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে তাঁরা পেয়েছেন ‘অমূল্য রতন’ থুড়ি, প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা। অবশ্য এ ‘রতন’ বেশ মূল্যবান। বর্তমান বাজারে অন্তত আড়াই কোটি টাকা।
ব্রিটেনের দ্য টাইমসের খবর অনুসারে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ইয়র্কশেয়ারের একটি ছোট্ট গ্রামে। দম্পতির পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। তবে বাড়ি সারাতে গিয়েই তাঁদের ভাগ্য ফিরেছে। শোনা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে বাড়িটি কিনেছিলেন ওই দম্পতি। কিন্তু তখন সারাবার প্রয়োজন পড়েনি। দিব্যি সেখানে ছিলেন। বাড়ির মেঝেতে যে এমন গুপ্তধন থাকতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: ভগবানের আধার কার্ড! গণেশ চতুর্থীতে ভাইরাল অভিনব মণ্ডপের ছবি]
সম্প্রতি ব্রিটিশ দম্পতি ঠিক করেন, বাড়িটি একটু সাজিয়ে-গুছিয়ে নেবেন। বিশেষ করে রান্নাঘর। তার মেঝেটি তুলে নতুন করে তৈরি করলে মন্দ হয় না। যেমনি ভাবা, তেমনি কাজ। পুরনো ফ্লোর তোলার কাজ শুরু হয়ে যায়। শাবল জাতীয় একটি যন্ত্র দিয়ে ফ্লোর তোলার কাজ চলছিল। আচমকা তাতে ধাতুর কিছু লাগার শব্দ শোনা যায়। প্রথমে মিস্ত্রিরা ভেবেছিলেন হয়তো বিদ্যুতের লাইন ধাতুর পাইপের মধ্যে দেওয়া রয়েছে। কিন্তু খোঁড়ার পর একটি কৌটো বেরিয়ে এল।
কৌটো হাতে পেয়ে অবাক হয়ে যান ব্রিটিশ দম্পতি। কিন্তু আরও অবাক হন তার ভিতরে দেখে। অন্তত ২৬৪টি স্বর্ণমুদ্রা ছিল তাতে। মনে করা হচ্ছে, মুদ্রাগুলি উনবিংশ শতাব্দীর। কিন্তু কীভাবে তা রান্নাঘরের মেঝের নিচে এল। কৌটোটি ফ্লোর থেকে মাত্র কয়েক ইঞ্চি নিচেই ছিল। অনুমান করা হচ্ছে, কোনও ব্যবসায়ী পরিবার ওই বাড়িতে থাকত। তাঁরাই এভাবে সম্পত্তি লুকিয়ে রেখেছিলেন। যা ব্রিটিশ দম্পতি ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলেন। সূত্রের খবর মানলে, খুব শিগগিরিই স্বর্ণমুদ্রাগুলি ‘স্পঙ্ক অ্যান্ড সন’ কোম্পানির মাধ্যমে নিলামে তোলা হবে। আর ইতিমধ্যেই আড়াই কোটি টাকা দামের প্রস্তাব পেয়ে গিয়েছেন ব্রিটিশ দম্পতি। তবে দরাদরির পর সর্বোচ্চ মূল্য যাঁরা দেবেন, তাঁদের হাতেই এই অমূল্য রতন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।