সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ইরানের (Iran) তৈরি ‘শহিদ ১৩৬’ ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। এবার তার চেয়েও ভয়ংকর ‘আরাশ টু’ ড্রোন রাশিয়াকে বিক্রির দাবি তুলেছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ। তাদের অভিযোগ, যুদ্ধক্ষেত্রে দঁাড়িয়ে রুশ সেনাকে ওই ড্রোন ব্যবহারের পরামর্শ দিতেও দেখা গিয়েছে ইরানি বিশেষজ্ঞদের। যা আদতে ক্রুজ মিসাইলের সংক্ষিপ্ত রূপ। দু’হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের কোনও যোগসূত্র বা রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রির কথা ইরান অস্বীকার করেছে। এই পরিস্থিতিতে পালটা ইউক্রেনকে রাশিয়ান ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সাহায্যের জন্য নিজেদের ভাণ্ডারে থাকা ‘হক’ বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাঠানোর কথা ভাবছে আমেরিকাও। প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই পদক্ষেপ করা হতে পারে। এদিকে, ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত শহর মেলিটোপোলে বিস্ফোরণে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিট নাম শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়দের, নেই পার্থ]
মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেন, দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শক্তি সম্পদ রাশিয়া ধ্বংস করে দিয়েছে। বিদু্যৎ সংকটের মুখে দঁাড়িয়ে ইউক্রেন। দ্রুত পরিস্থিতি সামলে ঘুরে দঁাড়াতে অন্তত ১,৭০০ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও অর্থই মেলেনি। জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন যে, ”আসন্ন শীত ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হতে চলেছে। আমাদের বিশ্রাম নেওয়ার অধিকার নেই।” পাশাপাশি, তিনি এও দাবি করেন, তথাকথিত বিশ্বের দু’নম্বর শক্তিশালী সেনাবাহিনীর মিথ ভেঙে দিয়েছে ইউক্রেন। এরই মধ্যে ভিয়েনা-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর পরিদর্শকদের একটি দল ইউক্রেনের দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন করবে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই আমেরিকা দাবি করেছিল ইউক্রেন যুদ্ধে এবার সরাসরি শামিল হয়েছে ইরানের সেনা। রুশ সেনাদের ড্রোন চালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক জন কিরবি দাবি করেন, ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়া (Crimea) অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছে ইরানি ফৌজের একটি বিশেষ দল। এবার ইরানের রুশ সেনাকে ভয়ংকর ড্রোন দেওয়ার দাবি করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।