shono
Advertisement

পাঁচ শতকেও জৌলুস হারায়নি খড়দহের ‘মেজবাটি’র শারদোৎসব

বিগত পাঁচ শতকে জৌলুসে অল্প মরচে ধরলেও খড়দহের গোস্বামীপাড়ার ‘মেজবাটি’-র শারদোৎসবে গরিমা এখনও কিন্তু অমলিন৷ ধারে-ভারে আজও একইরকম বাংলার প্রাচীন, ঐতিহ্যপূর্ণ এই বাড়ির পুজো৷ The post পাঁচ শতকেও জৌলুস হারায়নি খড়দহের ‘মেজবাটি’র শারদোৎসব appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 01:42 AM Aug 31, 2016Updated: 09:12 PM Aug 30, 2016

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সনাতন জৌলুস না হারিয়েও স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য৷ এমনই কিছু বাছাই করা প্রাচীন বাড়ির পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির Sangbadpratidin.in৷ আজ প্রথম প্রতিবেদনে পড়ুন খড়দহের গোস্বামীপাড়ার নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর স্মৃতিধন্য ‘মেজবাটি’র পুজো৷

Advertisement

শুভময় মণ্ডল: ৪৮৬ বছর আগে নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর হাত ধরে এই পুজোর শুরু৷

বিগত পাঁচ শতকে জৌলুসে অল্প মরচে ধরলেও খড়দহের গোস্বামীপাড়ার ‘মেজবাটি’র শারদোৎসবে গরিমা এখনও কিন্তু অমলিন৷ ধারে-ভারে আজও একইরকম বাংলার প্রাচীন, ঐতিহ্যপূর্ণ এই বাড়ির পুজো৷

এই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে উল্টো রথের দিন থেকেই৷ মা এখানে কাত্যায়নীরূপী দশভূজা৷ একচালায় অবস্থিত সম্পূর্ণ শোলার কারুকার্যে অলঙ্কৃত দেবী প্রতিমা৷ প্রতিমার দুপাশে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর বদলে দুই সখী জয়া-বিজয়া৷ কার্তিক ও গণেশ অবশ্য স্বমহিমায় স-বাহন বিরাজমান৷ দূর্গার বাহনও বিচিত্রদর্শন৷ দেহ সিংহের মতো হলেও মুখমণ্ডল ঘোটকের৷ পুরাণে আছে, বৃন্দাবনে শিশু কৃষ্ণকে বধের জন্য কেশাসুরকে পাঠায় কংস৷ কেশাসুর ঘোটকের রূপধারণ করে কৃষ্ণকে বধের পরিকল্পনা করে৷ সেই কাহিনি অনুসারেই এই কাত্যায়নী-রূপী দূর্গা৷

মহাষষ্ঠীর দিন বোধনের আগে মা দুর্গাকে এবাড়িতে সিংহাসনে তোলা হয়৷ কথিত আছে, নিত্যানন্দ মহাপ্রভু মাতৃ আরাধনার সময় এক মহিলার থেকে নবপত্রিকার থান অনুদান পেয়েছিলেন৷ তখন সধবার প্রতীক হিসাবে থানের উপর লম্বাভাবে সিঁদুরের দাগ কেটে দেওয়া হয়৷ বোধনের দিন নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে থান পড়ানোর পর লম্বাভাবে সিঁদুরদানের সেই প্রথা আজও প্রচলিত৷

কালের হাত ধরে নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর পরিবার প্রসারিত হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে পুজোর আয়োজনও এক থেকে বহু হয়৷ যেমন- কিশোর পরিবার, বিহারী, মাধব, লাল, কুমার, নন্দ, চাঁদ ও মোহন পরিবার৷ এই মোহন পরিবারেই বিশেষ ঘটা করে, মহাসাড়ম্বরে পুজো হয়৷ মহাপ্রভুর ১৪ তম বংশধর তথা পরিবারের বয়োজেষ্ঠ্য সদস্য সমরেন্দ্রমোহন গোস্বামীর হাতে আজ এই পুজোর ভার৷ বাড়ির সদস্য তথা নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর বংশধর সরোজেন্দ্রমোহন গোস্বামীর কথায়, “নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর আশীর্বাদে চার শতক পরেও এই পুজোকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি৷”

মেজবাটির দুর্গামণ্ডপ

বিশ্বকর্মা পুজোর পর দিন থেকেই মেজবাটির শ-খানেক সদস্যদের মধ্যে উৎসবের চেনা আমেজ চলে আসে৷ আর পাঁচটা পুজো বাড়ির মতোই এখানে মহালয়া থেকে বিজয়া দশমী আনন্দে মেতে ওঠে আট থেকে আশি৷ দোসর হয় এলাকার সাধারণ মানুষও৷ বাড়িতে এখন সাজ-সাজ রব৷ মা আসছেন ধরায়৷ বরণ করতে হবে যে তাঁকে…

The post পাঁচ শতকেও জৌলুস হারায়নি খড়দহের ‘মেজবাটি’র শারদোৎসব appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement