সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই সাফল্যের পর ভারতে এসেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। সোমবার দিল্লিতে পা রাখেন তিনি। আর এদিনই সুলিভান সাক্ষাৎ করেন মোদির সঙ্গে। বৈঠকে বসেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গেও। তাঁর এই সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আগামিদিনে দিল্লি-ওয়াশিংটন আরও দৃঢ়ভাবে জোটবদ্ধ হবে বলেও জানানো হয়েছে।
১৭ ও ১৮ জুন দুদিনের বিদেশসফরে এসেছেন জ্যাক সুলিভান। মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। কিন্তু সেসময় তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি নমোর 'বন্ধু'। ওই অনুষ্ঠানের কয়েকদিন পরই দিল্লিতে এলেন সুলিভান। সোমবার তিনি দেখা করেন মোদির সঙ্গে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। তার পরই এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, 'জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে পরিচয় করুন। তাঁর এই সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও বিশ্বশান্তির জন্য আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারত।'
এদিন জ্যাক সুলিভান বৈঠকে বসেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় আলোচনা করেন তাঁরা। এনিয়ে মার্কিন হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, "বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ও আমেরিকা। এই দুদেশের বন্ধুত্ব অটুট। জ্যাক সুলিভানের সফরে এই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। আমাদের এই সহযোগিতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ করবে। সেখানকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে।"
বলে রাখা ভালো, দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে লালফৌজ দাদাগিরি চালাচ্ছে। কমিউনিস্ট দেশের এই আগ্রাসানে বিপন্ন মুক্তবাণিজ্য পথ। এছাড়া বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গা জোয়ারি করে ভারতের সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছে চিন। বেজিংকে রুখতে আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ‘কোয়াড’ জোট গড়ে তুলেছে নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকদের মতে, চব্বিশের নির্বাচনে জয়লাভ করে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে মোদি সরকার। ফলে চিনকে রুখতে মোদির সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আগ্রহী আমেরিকা।