সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে তার উপর কড়া নজর রয়েছে আমেরিকার। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এদিকে, এই ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জন্য শোকদিবস পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে।
সোমবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে আসে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়টি। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালিয়েছে, আন্দোলনের নেতাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খল বাহিনীর ভূমিকাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? উত্তরে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের চলমান সংকটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমাদের আহ্বান অব্যাহত রয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার পক্ষে আমেরিকার দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।"
[আরও পড়ুন: বিএনপি-ছাত্রদলকে ‘জঙ্গি’ বলে উল্লেখ, জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হাসিনা সরকারের]
এদিকে, হিংসাত্মক আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার দেশজুড়ে শোক পালন করা হয়। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে শোকদিবস পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। শোক পালনের অংশ হিসেবে সরকারি আধিকারিক-কর্মচারী-সহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষরা কালো ব্যাজ পরেন। সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রকের আধিকারিকরাও কালো ব্যাজ ধারণ করে অফিস করেন।
বলে রাখা ভালো, এই আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তোলা ও শিক্ষার্থীদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি-জামাতের মতো সমমনস্ক দলগুলোর বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামাত-ছাত্রদলকে জঙ্গি বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। সূত্রের খবর, আগামিকাল বুধবার জামাতকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করা হতে পারে।