সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের জন্য স্বার্থত্যাগ করেছেন, এমন ঘটনা ভারতীয় দলে নতুন নয়। চলতি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) আবারও এমন ঘটনার সাক্ষী রইল ভারতীয় ক্রিকেট। দলের সম্পদ যে পেসাররা, তাঁদের সুবিধার জন্য নিজেদের আরামদায়ক জায়গা ছেড়ে দিলেন দলের তিন স্তম্ভ। অধিনায়ক রোহিত শর্মা, কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) ও বিরাট কোহলি নিজেদের জায়গা ছেড়ে দিলেন দলের চার পেসারকে। বিমানযাত্রার সময়ে পা ছড়িয়ে বসে স্বচ্ছন্দে তাঁরা যেন সফর করতে পারেন, সেই জন্যই বিজনেস ক্লাসের সিট ছেড়ে দিয়েছেন রোহিত-কোহলিরা (Virat Kohli)। দলের এক সাপোর্ট স্টাফের কথা থেকে বিষয়টি জানা গিয়েছে।
চলতি বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার জন্য তিনদিন অন্তর বিমানে চেপে যাতায়াত করতে হচ্ছে ভারতীয় দলকে। বিমানের সাধারণ সিটে বসলে পা মুড়ে বসতে হয়, ফলে পেশিতে টান ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দলের পেসাররা যেন এই সমস্যার মধ্যে না পড়েন, তাই নিজেদের বিজনেস ক্লাসের আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিরাটরা। মহম্মদ শামি, অর্শদীপ সিং, ভুবনেশ্বর কুমার ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার জন্য নিজেদের আরামদায়ক সিট ছেড়ে দিয়েছেন রোহিত-রাহুল দ্রাবিড়রা। ম্যাচের মধ্যে যেটুকু বিরতি পাওয়া যায়, সেই সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেতে এই উদ্যোগ বেশ কার্যকরী হয়েছে বলেই মনে করছে ভারতীয় দল।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ব্রাজিলের, আগের থেকে শক্তিশালী টিম নিয়ে কাতার যাচ্ছেন তিতে]
ভারতীয় দলের একজন সাপোর্ট স্টাফ জানিয়েছেন, “বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পেসাররা মাঠে সবচেয়ে বেশি দৌড়ন। তাই যেদিন ম্যাচ নেই, সেই দিনগুলোতে তাঁদের পা ও কোমরের পেশি পুরোপুরিভাবে বিশ্রামে থাকা দরকার।” বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেকটি দলকে চারটি করে বিজনেস ক্লাসের সিট দেওয়া হয়। সাধারণত দলের অধিনায়ক, কোচ, সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্যই এই সিট বরাদ্দ করা থাকে। কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে ভারতীয় দল।
চলতি বিশ্বকাপে পুরো অস্ট্রেলিয়া ঘুরে ফেলতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। তিনটি টাইম জোনের মধ্যে খেলতে হয়েছে বিরাটদের। প্রচণ্ড গরম বা ঠান্ডায় কাঁপতে থাকা অবস্থায় মাঠে নামতে হয়েছে তাঁদের। লাগাতার বিমানযাত্রার ফলে অনেক সময়েই ঘুমোতে পারেননি ক্রিকেটাররা। পরপর ম্যাচ জিতলেও সময়ের অভাবে সেই জয় উদযাপন করতে পারেননি। ক্লান্ত শরীরেই খেলতে নামছেন তাঁরা। মাঠে নেমে অবশ্য ক্লান্তি উধাও হয়ে যায়। দলগত প্রয়াসে ম্যাচ জিতে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন বিরাটরা। তাঁদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছে দেশবাসী।