সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগে বিশ্বকর্মা পুজোর (Viswakarma Puja) সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত তোড়জোড়। কিন্তু চলতি বছর উধাও চেনা ছবি। ছিল না পুজোর প্রস্তুতি। একে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পুজোর আয়োজনে ভাঁটা পড়েছে। আবার তার উপর রয়েছে আর্থিক সংকট। পুজোর দিনেও জৌলুসহীন রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল। বারাকপুর থেকে আসানসোল আবার মুর্শিদাবাদ থেকে বাঁকুড়া, মন ভাল নেই যন্ত্র নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর।
করোনা (Coronavirus) আবহে নম নম করে পুজো সারছে বহরমপুর শহরের তিনটি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন। বহরমপুরের পঞ্চাননতলায় পাশাপাশি তিনটি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে। তৃণমুল, কংগ্রেস ও সিটু ট্রাক ইউনিয়নগুলি ঘটা করে প্রতিবার বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করে। ওই তিন ইউনিয়নের পুজো ঘিরে শুরু হত প্রতিযোগিতা। কে কত বড় প্যান্ডেল করতে পারবে, কার পুজো মণ্ডপে কত বড় বিশ্বকর্মা হবে, কী ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে, কে কত বস্ত্র বিতরণ করতে পারবে তা নিয়ে সরগরম থাকত শহর। বসত তিনদিনের মেলা। কিন্তু এবার বিষাদের সুর। করোনা সক্রমণ কেড়ে নিয়েছে পুজোর প্রতিযোগিতা। অতিমারী রুখতে তিন শ্রমিক সংঘটন অর্ধেকের বেশি বাজেট কমিয়ে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কেউ উৎসব থেকে বঞ্চিত হবেন না’, কোভিড পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো নিয়ে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর]
একই অবস্থা বাঁকুড়াতেও। এবছর বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া এবং বিষ্ণুপুর শিল্পাঞ্চলেও কোনক্রমে নিয়ম মেনে হচ্ছে বিশ্বকর্মা আরাধনা। গত কয়েক বছর ধরে শিল্পসংস্থাগুলি রুগ্ন হয়ে পড়ায় পুজোর জৌলুস কমলেও আনন্দে ঘাটতি ছিল না। কিন্তু চলতি বছর করোনা সংক্রমণের জেরে সেই উদ্যোগটুকুও উধাও হয়ে গিয়েছে। বাঁকুড়া শহরের বড় বাজার বাসস্ট্যান্ড, তামলিবাঁধ, লালবাজার-সহ শহরের একাধিক গ্যারেজ পট্টিতে বড় পুজো হত। এছাড়া বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা ও বড়জোড়া এবং গঙ্গাজলঘাটি এলাকায় ছোটবড় শিল্পসংস্থা থাকায় এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় উৎসব ছিল বিশ্বকর্মা পুজো। কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারে আলাদা। শিল্পাঞ্চলগুলির শ্রমিক থেকে রিকশা, টোটো চালক-সহ পুজোর উদ্যোক্তারা জানান, প্রায় ৫০০ পুজোর মধ্যে এবার হাতে গোনা কয়েকটি হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ঝোপে ভরা কুয়োয় উঁকি দিতেই পর্দাফাঁস, মিলল পুরুলিয়ার আদিবাসী দম্পতির কাটা মুন্ডু]
The post বিশ্বকর্মা পুজোয় জৌলুসহীন শিল্পাঞ্চল, কোভিডবিধি মেনে নমো নমো করে চলছে আরাধনা appeared first on Sangbad Pratidin.