সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে অনুষ্ঠান কলকাতার (Kolkata) জাদুঘরে। আমন্ত্রিত বলিউড অভিনেতা অনুপম খের (Anupam Kher), পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্ব হলেও দু’জনই গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আর অন্যান্য গেরুয়া ব্রিগেডের নেতাদের মতোই তাঁরাও কলকাতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। ‘রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডাহা ফেল মুখ্যমন্ত্রী’, সরাসরি এভাবেই আক্রমণ করলেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। বাংলায় ৩০০ থেকে ৪০০ ‘মিনি কাশ্মীর’ও খুঁজে পেলেন তিনি।
রবিবারের সন্ধেবেলায় বলিউড (Bollywood) পরিচালক-অভিনেত্রীদের আগমন এবং রাজ্যের শাসকদলকে সরাসরি তীব্র আক্রমণে স্তম্ভিত বাংলার রাজনৈতিক মহল। শিল্পীদের মুখে এসব কথা শুনে তাঁদের শিল্প সত্ত্বার চেয়ে রাজনৈতিক সত্ত্বা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা। যদিও বিবেক অগ্নিহোত্রী কিংবা অনুপম খেরের ‘মোদি’ ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। কিন্তু ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় এতটা রাজনৈতিক আক্রমণ বোধহয় আশা করেননি কেউ।
[আরও পড়ুন: এবার শান্তনুর স্ত্রীকে তলব ইডির, স্বামীর গ্রেপ্তারির পর থেকেই বেপাত্তা প্রিয়াঙ্কা!]
এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপির (BJP) তরফে ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত, শিশির বাজোরিয়া। কলকাতার দুর্গাপুজোর ইউনেস্কোর হেরিটেজ প্রাপ্তির কথা মনে রেখে বিবেক অগ্নিহোত্রী ও অনুপম খেরের হাতে তুলে দেন দুর্গামূর্তির ছোট সংস্করণ। এরপরই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরাসরি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক। তাঁর কথায়, ”তিন, চারশো মিনি কাশ্মীর রয়েছে বাংলায়। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, বাংলা জাগরিত ডিএনএ। বাংলার কাহিনি ভারতের সবাইকে বলতে চাই। ‘বেঙ্গল ফাইলস’ বানাব। আমি বাংলায় এসে স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে পারছি না। দেখুন, সঙ্গে বডিগার্ড। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে।”
[আরও পড়ুন: ‘তোমরা উত্তর ভারতের ভিখারি’, কন্নড় না বলায় তরুণীকে অপমান কর্ণাটকের অটোচালকের]
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর মূল অভিনেতা অনুপম খেরের কণ্ঠেও একই সুর। আজকের অনুষ্ঠান সেরে সোমবার তাঁর যাওয়ার কথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে এক আলোচনাসভায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। রাজনৈতিক আলোচনা কেন বিশ্বভারতীর অন্দরে, কেনই বা অনুপম খের বক্তা? এসব প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সে কথা হয়ত কানে গিয়েছে অনুপম খেরের। এদিন অনুষ্ঠান থেকে তিনি হুঁশিয়ারির সুরেই বললেন, ”শান্তিনিকেতন যাবই। কেউ আটকাতে পারবে না।” তাঁদের এহেন বক্তব্যে অত্যন্ত বিরক্ত রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ”আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।”