অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: দলবদল করে ভোটে জিতে বিরোধী দলনেতার পদ পেয়েছেন। তবে নির্বাচনী ফলাফলের দায় নিতে তিনি বরাবরই নারাজ। বাংলার ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হল না। হারের দায় সংগঠনের উপরই ফের চাপালেন শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ তাঁর নিশানায় এবারও সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা। যদিও দলের এহেন জঘন্য ফলাফলে নিজের উপলব্ধির কথা শুনিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর মন্তব্য, প্রয়োজন নির্বাচনমুখী সংগঠন, আন্দোলনমুখী দল।
রাজ্যের ছটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (WB By-Elections Result) বিজেপির খারাপ পারফরম্যান্স অব্যাহত। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আবার সিতাই ও হাড়োয়া কেন্দ্রে প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পথে। এই ফলাফল নিয়ে বিজেপির অন্দরে নানা মুনির নানা মত। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা দায়ী করছেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়াকেই দুষছেন। অন্যদিকে অর্জুন সিং দুষছেন খোদ নির্বাচন কমিশনকে। তাঁর অভিযোগ, কমিশনের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে তৃণমূলের। তাই সর্বত্র শাসকদলের প্রার্থীদের জয়জয়কার।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী ফলাফলের দায় ফের একবার চাপালেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের উপর। শনিবার ডেবরায় সাংগঠনিক বৈঠক শেষে তাঁর বক্তব্য, ''আমি সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাই না, যুক্তও থাকি না। তবে নিজের রাজনৈতিক জীবনের উপলব্ধি মধ্যে দিয়ে একটা কথাই বলতে পারি, নির্বাচনমুখী সংগঠন, আন্দোলনমুখী দল বা মোর্চার প্রয়োজন রয়েছে। আমি নিজে এত বছর সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়েছি। সকলেই আমরা ২০২৬-এর জন্য অপেক্ষা করছি। এই ৬টা আসন নিয়ে কেউই ভাবিনি।'' দিন দুই আগেই বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে 'যোগ্যতম' বলে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হারের দায় একচুলও নিজের কাঁধে না নেওয়া শুভেন্দু কি সত্যিই 'যোগ্যতম'?