গৌতম ভট্টাচার্য: থাকেন নাকতলায়। প্রার্থী (TMC Candidate) হয়েছেন হুগলির উত্তরপাড়া (Hooghly – Uttarpara) এলাকায়। ভোটের আবহেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। বিজেপিতে (BJP Candidate) যোগ দেওয়া সহকর্মীকে পালটা খোঁচা দিলেন কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick)। রাজ চক্রবর্তীর প্ররোচনাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কাঞ্চন। এমন মন্তব্য করেছিলেন রুদ্রনীল। তার উত্তর দিতে গিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ফেসবুক লাইভে কাঞ্চন বললেন, “কীভাবে দলে ঢুকতে হয় জানি না, কীভাবে দপ্তর পেতে হয় জানি না, কীভাবে গাড়িতে আলো লাগাতে হয় জানি না। কীভাবে দল বদলাতে হয় জানি না। কীভাবে ফ্ল্যাট সাজাতে হয় জানি না। কীভাবে কবিতা লিখতে হয় জানি না। সত্যিই আমি সাতে পাঁচে বুঝি না।” রাজের (Raj Chakraborty) সঙ্গে তাঁর চেয়ে রুদ্রনীলের বন্ধুত্ব বেশি। পরিচালকের বেশিরভাগ ছবিতে রুদ্রনীলই কাজ করেছেন বলে জানান কাঞ্চন।
“রুদ্রনীল যখন নীল আলো লাগিয়ে ঘুরত তখনও এত অহমিকা ছিল না, এখন যে অহমিকা দেখতে পাই”, বৃহস্পতিবার বলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রে তৃণমূল কুকিজের প্যাকেটকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করালেও জিতবে বলে দাবি কাঞ্চন মল্লিকের। কেন আচমকা ভোটের আবহে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা জানান, যেভাবে নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে, তারপরও তিনি লড়ে যাচ্ছেন। তাতে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। বিজেপিকে (BJP) রোখার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
নিজের এই সাক্ষাৎকারে ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) ও শুভেন্দু অধিকারীকেও (Suvendu Adhikari) একহাত নেন কাঞ্চন। দু’জনকেই দুর্দান্ত অভিনেতা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। যেভাবে রাজীব মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নিয়ে ভরতের মতো বিধানসভা থেকে বেরিয়েছেন, তারপর আবার তাঁর নামেই কুকথা বলেছেন। আবার শুভেন্দু এত মন্ত্রীত্ব সামলানোর পরও কিছু পাননি বলে দাবি করে বেড়াচ্ছেন তাতে টালিগঞ্জে দু’জনের অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে বলেও কটাক্ষ করেন কাঞ্চন।
[আরও পড়ুন: ৪৫ বছরের না হয়েও করোনার টিকা নিয়ে ট্রোলড সৃজিত, কী প্রতিক্রিয়া ক্ষুব্ধ পরিচালকের?]
“প্লাস্টার কাটা হয়ে গেল। ফের ব্যান্ডেজ বাধা হয়ে গিয়েছে। আর পা তুলে তুলে সবাইকে দেখাচ্ছে। শাড়ি পরে এসে একটা পা ঢাকা। একটা খোলা। এমন শাড়ি পড়তে দেখিনি। যদি পা টা বার করে রাখতে পারেন। তাহলে শাড়ি কেন বারমুডা পরতে পারেন। তাহলে পরিষ্কার দেখা যায়। কত নাটক দেখব আর।” পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে এই মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন কাঞ্চন। “ওনার মতো একজন শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে একথা মানায়! ছিঃ!” বলেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রত্যেক মহিলার এই কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করেন কাঞ্চন।
দেখুন ভিডিও –
[আরও পড়ুন: ‘বাঁচার মতো বাঁচতে, তারা হাতুড়ি কাস্তে’, প্রচারে ঝোড়ো স্লোগান বৃদ্ধার, ভিডিও শেয়ার শ্রীলেখার]