স্টাফ রিপোর্টার: আগের বৃষ্টির জল সরেনি। তার উপর ফের অকালবর্ষণ। ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ধান, আলু, সরষে, ডালের মতো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি সবজিচাষেও ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট। তবে রাজ্য সরকার যেভাবে চাষিদের দ্রুত ফসল বিমায় নিয়ে আসার তোড়জোড় করছে, তাতে আর্থিকভাবে কিছুটা হলেও সুরাহা মিলবে। আরও বেশি চাষিকে ফসল বিমার আওতায় নিয়ে আসতে জোরদার প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, “ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিমার টাকা দেওয়া এবং আরও বেশি চাষিকে বিমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কৃষি দপ্তরের কর্তা এবং বিমা সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে করা হয়েছে। সরকারি প্রচারের পাশাপাশি বিমা সংস্থাকেও প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে।” ফসল নষ্ট হওয়ায় বাজারে আলু থেকে সবজি সবের দামই ঊর্ধ্বমুখী। বৃষ্টি না থামলে সমস্যা আরও জটিল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: যশের পর নোনা জলে নষ্ট জমি, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ‘নোনা স্বর্ণ’ ধান চাষে ব্যাপক লক্ষ্মীলাভ]
কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, দুর্যোগ আসার আগে সরকারি স্তরে চাষিদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন সরকারি কৃষি আধিকারিকরা। ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে প্রায় ৭০ শতাংশ ধান তুলে নেওয়া হয়েছে, ফসল জমি থেকে তুলে গুদামজাত করার ব্যবস্থা সেরে ফেলা সত্ত্বেও পুরোপুরি ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়নি। তাছাড়াও আলুচাষের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারণ, আলুর চারা ছোট রয়েছে। তার উপর জল জমে রয়েছে জমিতে। বৃষ্টি থামলে জমির জল শুকিয়ে যেত। কিন্তু ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় অবস্থা জটিল হয়েছে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে রোদ না উঠলে জমিতেই আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা। দপ্তর সূত্রে খবর, প্রাকৃতিক দুর্যোগে খরিফ ধানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমির। সরষে নষ্ট হয়েছে প্রায় ৬৯,৭১৮ হেক্টরে। আলুচাষ নষ্ট হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও ক্ষতি হয়েছে মসুর ও খেসারির ডালের। সব মিলিয়ে প্রায় ছ’টি জেলায় ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে কৃষি দপ্তর।