সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের নয়া প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। এই নিয়ে দেশজুড়ে চলতে থাকা বিতর্কের মাঝেই নিজেদের পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল ফেসবুকের মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপটি। ভারতীয় ইউজারদের স্বস্তি দিয়ে তারা জানিয়ে দিল, হোয়াটসঅ্যাপের নয়া প্রাইভেসি পলিসির শর্তাবলী না মানলেও, আগামী ১৫ মে কারওর অ্যাকাউন্ট বাতিল হবে না। শুক্রবারই বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। আর তারপরই ইউজারদের মধ্যে খুশির হাওয়া। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, তা জানায়নি তারা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার এই প্রসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে এই প্রশ্ন করা হয়। ই-মেল মারফত তার জবাবে মুখপাত্র জানান, “এই আপডেট না করলেও ১৫ মে-র পর কারওর অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হবে না। ভারতেও কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে সমস্যায় পড়বেন না। অধিকাংশ হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারই এই পলিসি মেনে নিয়েছেন। তবে কয়েকজনের কাছে এই সংক্রান্ত আপডেট এখনও পৌঁছায়নি। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁরা এটি মানেননি। আগামী সপ্তাহগুলিতে আমরা সেই সমস্ত ইউজারদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করব।”
[আরও পড়ুন: উপগ্রহ থেকেই সরাসরি মিলবে দুরন্ত ইন্টারনেট! ‘বিপ্লব’ আনতে চায় এলন মাস্কের সংস্থা]
কয়েকমাস আগেই হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের প্রাইভেসি পলিসি আপডেটের ঘোষণা করেছিল। তারপর থেকে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। বহু ইউজারই হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে সিগন্যাল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অন্য অ্যাপের দিকে ঝুঁকছিলেন। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায়, ভারতের এক নম্বর অ্যাপ হয়ে উঠেছিল সিগন্যাল! বিতর্কের মধ্যেও প্রথম দিকে হোয়াটসঅ্যাপ কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেই ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে দেখে এক বিবৃতিতে ফেসবুকের মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপটি জানিয়ে দেয়, ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। নতুন প্রাইভেসি পলিসির কারণে তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি না শুধরানোয় তারা আরও জানায়, এই আপডেটের ফলে ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করা হবে এমন তথ্য একেবারেই সঠিক নয়। এরপর প্রথমে ৮ ফেব্রুয়ারি নয়া প্রাইভেসি পলিসি মেনে নেওয়ার শেষ তারিখ থাকলেও, পরে সেই সময়সীমা ১৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর এবার সেই তারিখও বাতিল করে দিল হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।