সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি মনের সুখে অথবা দুঃখে মুখের মধ্যে পুরে দিলেন আঙুল! কামড়ে কেটে নিলেন নখ বা আঙুলের চার পাশের চামড়ার একটুখানি!
এরকম সময়ে হামেশাই কেউ না কেউ বলে থাকেন, এই বদ অভ্যেসটা ছাড়তে! কখনও কখনও উপদেশের সঙ্গে জুটে যায় মৃদু বকুনিও!
তখন যিনি ব্যাপারটাকে বদ অভ্যেস বলছেন, তার উপর একটু বিরক্তি এসে যায়। বিরক্তি এলে তাঁদের আমরা হয় এড়িয়ে যাই, নয় তো তাঁদের উপস্থিতিতে দাঁত দিয়ে নখ কাটা বা আঙুলের চার পাশের চামড়া ছেঁড়াটা থামিয়ে দিই!
তার পর আবার যে কে সেই! ব্যাপারটা বদ অভ্যেস জেনেও!
কিন্তু, বদ অভ্যেস কেন? সেটা কি কেউ বলেছেন?
Advertisement
সেই রহস্যই এবার ফাঁস করল এক বিদেশি পত্রিকা। বলল, এই বদ অভ্যেসটার পোশাকি নাম ডার্মাটোফেজিয়া।
কী এই ডার্মাটোফেজিয়া?
বিদেশই ওই পত্রিকার বক্তব্য অনুযায়ী, সাধারণত উদ্বেগ থেকে এই দাঁত দিয়ে নখ কাটা বা আঙুলের চার পাশের চামড়া কাটার বদ অভ্যেস তৈরি হয়। খুব ছোট বয়স থেকেই। সেটাকেই চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হচ্ছে ডার্মাটোফেজিয়া।
তা, দীর্ঘ দিন যদি এই অভ্যেস বজায় থাকে, তাহলে কী হয়?
সেখানেই আসল সমস্যা! কী হয়, জানলে আঁতকে উঠবেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে নখ এবং চার পাশের চামড়া কাটতে কাটতে এক সময়ে নেল বেড নষ্ট হয়ে যায়। মানে, নখের নিচে যে নরম চামড়ার আস্তরণ থাকে, তা আর তৈরি হয় না। নখ তখন বসে যেতে থাকে ত্বকের গভীরে। ব্যাপারটা কতটা ব্যথাদায়ক, বুঝতে পারছেন আশা করি!
এখানেই শেষ নয়। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে কামড়ে আঙুলের মাথার কাছটা বেশ ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছেন। এ সব ক্ষেত্রে জীবাণু সংক্রমণের একটা আশঙ্কা থেকে যায়। পাশাপাশি, মুখের লালা থেকেও হতে পারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ।
সে রকম হলে?
আঙুল কেটে বাদ দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।
তাই, উদ্বেগকে প্রশমিত করতে শেখাই বরং ভাল হবে! খামোখা অঙ্গহানি কে বা চান!
The post আঙুলের নখ খান? ভাবতেও পারবেন না কী হবে! appeared first on Sangbad Pratidin.