রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) আর বাকি মোটে ১০ মাস। তার আগে রাতারাতি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী (Tripura CM) বদল করল বিজেপি। বিপ্লব দেবের জুতোতে পা গলালেন ডা. মানিক সাহা। কিন্তু কেন এই পরিবর্তন, শুধুমাত্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিংবা ভাবমূর্তি বদল, নাকি এই রদবদলের পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ আগে গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট আসে। সেই রিপোর্টে উঠে আসে ভয়াবহ তথ্য। যা দেখে রাতারাতি বিপ্লব দেবের মতো প্রভাবশালী নেতাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। বদলে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেন ডা. মানিক সাহা। কী ছিল সেই সমীক্ষার রিপোর্টে?
[আরও পড়ুন: এবার নাইট শিবিরে ধাক্কা, চোটের জন্য আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন রাহানে]
দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপির সমীক্ষা বলছে এখনই ত্রিপুরার নির্বাচন হলে বিজেপি জিতবে ১২ আসন। গতবার তারা পেয়েছিল ৩৩। বামেদের দখলে ছিল ১৪ আসন। কিন্তু এবার সেই আসন সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ১৮-২০। কংগ্রেস এবং তৃণমুল পেতে পারে ১০-১২। তবে তৃণমূলের চেয়ে কংগ্রেসের আসন বেশি হতে পারে। আর তিপ্রা মথা অর্থাৎ উপজাতিদের দলটি পেতে পারে ২০ আসন। আর এই তথ্যই ভাবাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। তাদের আশঙ্কা, বাম, কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা হাত মেলালে সরকার গড়তে পারবে না বিজেপি। পরিস্থিতি বদল করতেই তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী বদল করল গেরুয়া শিবির।
এই রিপোর্ট পেয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ত্রিপুরায় সরকার গড়ার রাস্তা মসৃণ করতে দ্রুত মুখ বদল করল বিজেপি। সূত্রের খবর, তৃণমূল সে রাজ্যে পা রেখে বিরোধী ভোট ভাগ করার সুফলও বিজেপি পাচ্ছে না। তাই আর দেরি না করে সাহসী সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। প্রয়োজনে দলের অন্দরে আরও পরিবর্তন ঘটাতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু দিনের শেষে বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, এত করেও কি শেষরক্ষা হবে? ফের সরকার গড়তে পারবে বিজেপি?