সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আম্মার দেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশ কেন দেওয়া যাবে না? জয়ললিতার মৃত্যু নিয়ে গোপনীয়তা প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাই কোর্ট এই মর্মে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে তামিলনাড়ু ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। একইসঙ্গে কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। প্রসঙ্গত, ৭৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৫ ডিসেম্বর আচমকা জয়ললিতার মৃত্যুকে ঘিরে সন্দিহান আদালত। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ জানিয়েছে, গোটা ঘটনা ঘিরেই রহস্য বিদ্যমান।
উল্লেখ্য, হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চের দুই বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন ও পার্থিবান এদিন আম্মার পার্টি এআইএডিএমকে-র এক কর্মী পিএ যোসেফের দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, দেখা গিয়েছিল আম্মা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি আইসিইউতেই খাবার খেতে শুরু করেছিলেন, কাগজপত্রে সই করছিলেন, এমনকী দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। তারপর আচমকা তিনি মারা গেলেন! আদালতের প্রশ্ন, জয়ললিতার মৃত্যুর এতদিন পরেও কেন কোনও তথ্যপ্রমাণ, হাসপাতালের কাগজপত্র কোর্টে জমা পড়ল না। এই ঘটনার সঙ্গে আদালত আটের দশকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এমজিআরের মৃত্যুর উদাহরণ দিয়েছে। বিচারপতিদের বক্তব্য, হাসপাতালে থাকাকালীন এমজিআরের ভিডিও তামিলনাড়ু সরকার প্রকাশ করেছিল। অন্যদিকে, সব জল্পনার অবসান করে এআইএডিএমকে-র সুপ্রিমো হচ্ছেন চিন্নাম্মা শশীকলা নটরাজন। এদিনই দলীয় বৈঠকে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সর্বসম্মতভাবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব শশীকলার হাতেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী বছর ২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আম্মার পদে অভিষেক হবে চিন্নাম্মার। দলের আস্থা যে বরাবরই শশীকলার উপর ছিল তামিলনাড়ুর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পন্নিরসেলভমের এদিনের বক্তব্যেই তা স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, ‘আম্মার মধ্যে আমরা এমজিআরকে দেখতে পেতাম। তেমনই চিন্নাম্মার মধ্যে জয়ললিতাকে খুঁজে পাই আমরা।‘
The post আম্মার দেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশ কেন নয়, সরকারকে প্রশ্ন আদালতের appeared first on Sangbad Pratidin.