সংবাদ প্রতিদি ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশে অভিযানে বড় সাফল্য। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে (Mumbai Serial Blast) অন্যতম অভিযুক্ত দাউদ (Dawood Ibrahim) ঘনিষ্ঠ আবু বকরকে (Abu Bakar) গ্রেপ্তার করল ভারতীয় গোয়েন্দারা। মুম্বই হামলার ২৯ বছর পর গ্রেপ্তার করা সম্ভব হল এই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসবাদীকে। গতকাল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (United Arab Emirates) থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে আমিরশাহি সরকারের সঙ্গে আবু বকরের প্রত্যার্পণের আইনি প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ভারত।
১৯৯৩ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত আবু বকর ভারত থেকে পালানোর পর বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আত্মগোপন করে ছিল। ১৯৯৭ সালেই তাঁর বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি হয়। যদিও ভারতীয় গোয়েন্দারা কিছুতেই পাকড়াও করতে পারছিল না তাকে। তবে এদিন আর শেষরক্ষা হল না। হাতেনাতে ধরা পড়ল সে।
[আরও পড়ুন: দেশে ফের দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা হাজার পার, তবে কমছে অ্যাকটিভ কেস]
আবু বকরের পুরো নাম আবু বকর আব্দুল গফর শেখ। এই কুখ্যাত অপরাধী সোনা, কাপড়, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম পাচারের সঙ্গেও যুক্ত। এই কাজে তার সঙ্গী ছিল দাউদ কোম্পানির দুই সদস্য মহম্মদ ও মুস্তাফা দোসা। উল্লেখ্য, এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই ২০১৯ সালে আবু বকরকে গ্রেপ্তার করেছিল ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটি দল। কিন্তু সেবার নথি সংক্রান্ত গোলামালে ছাড়া পেয়ে যায় সে। এবার অবশ্য সেই সম্ভাবনা নেই। গ্রেপ্তারি সম্পূর্ণ হওয়ার প্রত্যার্পণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের (Pakistan) করাচিতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত সেলিম গাজির (Salim Gazi)। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’দের তালিকায় নাম ছিল দাউদ ও ছোটা শাকিলের ঘনিষ্ট সেলিম গাজির । মুম্বই হামলার পরেই দেশ ছেড়ে পালায় সে।
[আরও পড়ুন: আইসিএসই ও আইএসসি’র প্রথম সেমেস্টারের রেজাল্ট ৭ ফেব্রুয়ারি, কীভাবে জানা যাবে ফল?]
১৯৯৩ সালের ১২ মার্চে মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণর ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। আহতের সংখ্যা ছিল ৭০০-র বেশি। মুম্বই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে। আরেক অন্যতম অভিযুক্ত টাইগার মেমনও পাকিস্তানে বলেই খবর। টাইগারের ভাই ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি হয়েছে ২০১৫ সালের ৩০ জুলাইয়ে।