সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও কেঁপে আফগানিস্তান। শনিবার দুপুরে আফগানিস্তান-তাজাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বড়সড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যার জেরে কেঁপে ওঠে কাশ্মীর, দিল্লির মতো বহু অঞ্চল। জানা যাচ্ছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৮।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস)-এর তরফে জানা যাচ্ছে, ঠিক ১২টা ১৭ নাগাদ অনুভূত হয় ভূমিকম্প। যার কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তান-তাজাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চল। ভূপৃষ্ট থেকে ৮৬ কিলোমিটার গভীরে। কাশ্মীর, দিল্লি-সহ একাধিক অঞ্চলে কম্পন কম্পন অনুভব করা গিয়েছে। ঘটনার একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে, বাড়ির ভিতরে কাঁপছে আসবাবপত্র, সিলিং ফ্যান। অবশ্য এই ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গত বুধবারও আফগানিস্তানে ৫.৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। পূর্ব বাঘলান থেকে সেই ভূমিকম্পের উৎসস্থলের দূরত্ব ছিল ১৬৪ কিমি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল মায়ানমার। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত গুঁড়িয়ে যায় একের পর এক বহুতল, ব্রিজ। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সেদেশের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রভাব পড়ে মায়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে এখনও পর্যন্ত মায়ানমারে মৃত্যু হয়েছে ৩১০০ মানুষের। ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে কাঁপে সেই দেশ।
মায়ানমারে পর পর এই ভূমিকম্পের কারণ ব্যাখ্যা করে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের ফাটলের কাছে অবস্থিত মায়ানমার। এই ভারতীয় প্লেট প্রতিবছর ৫ সেন্টিমিটার হারে ইউরেশিয়ান প্লেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়াও এই অংশে রয়েছে বেশকিছু ফল্ট জোন। ‘সাংহাই ফল্ট’ এর মধ্যে অন্যতম। সার্বিক ভাবে এই নিয়ে চাঞ্চল্যের মধ্যেই এবার কম্পন আফগানিস্তানে।
