সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু হল 'অপারেশন বাম'। দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতাকামী বালোচ বিদ্রোহীরা এবার বড়সড় অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, গোটা বালোচিস্তানজুড়ে আক্রমণ শানিয়েছে বালোচ লিবারেশন ফ্রন্ট। তবে অপারেশন বামের জেরে কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি পাকিস্তান।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, একসঙ্গে চার জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৭টি হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মূলত সরকারি ভবন এবং সম্পত্তি লক্ষ্য করে হামলা হয়। বিএলএফের তরফে জানানো হয়, সামরিক ঘাঁটি, পুলিশ চৌকি, যোগাযোগ এবং প্রশাসনিক ভবনগুলিকে নিশানা করে হামলা চালিয়েছে তারা। পাক নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের যতটা সম্ভব ধাক্কা দেওয়াই এই অপারেশনের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে বালোচ বিদ্রোহীরা। তবে পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। আপাতত বালোচিস্তানে আরও বেশি করে সেনা এবং আধাসেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান।
অসমর্থিত স্থানীয় সূত্রে খবর, কেছ এবং পাঞ্জগুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তুরবাটে গ্রেনেড বিস্ফোরণের জেরে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে জানা যায়, বালোচিস্তানে বাস থেকে যাত্রীদের অপহরণ করে তাদের খুন করা হয়েছে। একাধিক বাস থেকে যাত্রীদের অপহরণ করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। পরে পার্বত্য এলাকা থেকে তাঁদের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ মেলে। যদিও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী। তবে অতীতে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বালোচরা। অপারেশন বামের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহের আঙুল উঠছে বালোচদের দিকেই।
উল্লেখ্য, প্রায় ২০ বছর ধরে স্বাধীনতা চেয়ে আন্দোলন করছে বালোচরা। চলতি বছরে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল বালোচ লিবারেশন আর্মি। কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী যাত্রীবাহী জাফর এক্সপ্রেসের দখল নেয় বিদ্রোহীরা। ২৮ পাক সেনা ও ২৬ পণবন্দির মৃত্যু হয়। মার্চ মাসের সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পাকিস্তানে বড়সড় আঘাত হানল বালোচরা। অপারেশন বাম শব্দের অর্থ নতুন ভোর। এবার কি তাহলে স্বাধীন ভোরের লক্ষ্যে সফল হবে বালোচিস্তান?
