সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। ক্ষমতায় ফিরে এমনই আদেশনামা জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা কার্যকর হচ্ছে ২০ ফেব্রুয়ারি। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুকে থাকা ভারতীয়রা ভুগছেন আতঙ্কে। আর তাই তড়িঘড়ি সি সেকশন করিয়ে সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয় মহিলারা। কেননা এর মধ্যে সন্তানের জন্ম হলে তারা মার্কিন নাগরিক বলেই গণ্য হবে! ফলে শুরু হয়েছে তাড়াহুড়ো।
পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে 'সিঁদুরে মেঘ' দেখছেন টেক্সাসের চিকিৎসক ড. এস জি মুক্কালা। এক সংবাগমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি সতর্ক করেছেন হবু মায়েদের। তাঁর দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের আগে সন্তানের জন্ম দিলে তা বিরাট ঝুঁকির হতে পারে। সেক্ষেত্রে সদ্যোজাতর অপরিণত ফুসফুস, কম ওজন ও স্নায়ুগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছেন, ''আমি হবু মায়েদের বলতে চাই, সময়ের আগে সন্তানজন্ম বড়সড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে। আমি ইতিমধ্যেই ১৫ থেকে ২০টি দম্পতির সঙ্গে কথা বলেছি।''
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচার থেকেই রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের নিশানায় ছিল অভিবাসীরা। এই মুহূর্তে আমেরিকার মাটিতে ১ কোটি ৪০ লক্ষ অভিবাসী। তাঁদের মধ্যে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ভারতীয়। মার্কিন মুলুকে এবার তীব্র শীতের কামড়ে নয়, বরং ট্রাম্প-আতঙ্কেই কাঁপছেন তাঁরা। কারণ অফিসে এসে প্রথমদিনই ট্রাম্প হুঙ্কার দিয়েছেন, নথিবিহীন অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, কর্মসূত্রে অভিবাসী যাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে আমেরিকার মাটিতে, তাঁরাও আর পুরনো আইনের সুবিধায় মার্কিন নাগরিকত্ব পাবেন না। এছাড়া বাবা কিংবা মায়ের মধ্যে অন্তত একজনের গ্রিনকার্ড না থাকলে, সন্তান পাবে না জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ। এই অবস্থায় আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। একজন এইচ১বি হোল্ডার বলছেন, ''আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এখানে পৌঁছেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সব দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।''
