সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ভারত! হরদীপ সিং নিজ্জর খুন নিয়ে এমন বিস্ফোরক দাবি করা হল কানাডা পুলিশের তরফে। তাদের দাবি, ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের। কানাডা পুলিশের আরও দাবি, জোর করে কাজ করাতে বেশ কয়েকজনকে হুমকিও দিয়েছে ভারত সরকার। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে বাবা সিদ্দিকির হত্যার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। তার পরেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনল কানাডা।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ। সেখানে সাফ বলা হয়, "কানাডা এবং অন্যান্য দেশের বহু ব্যক্তি এবং সংস্থার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা। অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যক্তি বা সংস্থাকে হুমকি দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করা হত। এই তথ্য সংগ্রহ করে পৌঁছে দেওয়া হত ভারত সরকারের কাছে। তার ভিত্তিতেই দক্ষিণ এশীয়দের নিশানা করা হত।"
এক সাংবাদিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, শিখ সম্প্রদায়কেই কি বিশেষভাবে নিশানা করছে ভারত? কানাডা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ব্রিজেট গভিন সাফ বলেন, কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থীদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। তার জন্য ঘোষিত অপরাধীদের সাহায্য নিতেও পিছপা হচ্ছে না ভারত। ব্রিজেটের দাবি, "প্রত্যেকটি ঘটনার সঙ্গেই প্রকাশ্যে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নাম জড়িয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারত সরকারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।"
উল্লেখ্য, দশেরার সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির। সেই খুনের দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। মূলত ভারতেই তাদের নাশকতামূলক কার্যকলাপ চললেও কানাডায় বেশ প্রভাব রয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়েই নিজ্জর খুনের ছক কষেছে ভারত, এমনটাই দাবি কানাডার। তবে একাধিক অভিযোগ আনলেও এখনও পর্যন্ত কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি জাস্টিন ট্রুডোর প্রশাসন। ফলে বিতর্ক বাড়ছে গোটা বিষয়টি নিয়ে। এনসিপি নেতার খুনের আবহকে কাজে লাগাতেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের উল্লেখ কানাডা পুলিশের মুখে? উঠছে সেই প্রশ্নও।