সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে (Daniel Pearl) অপহরণ ও হত্যায় দোষী পাক জঙ্গি ওমর সঈদ শেখকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। আর তা নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: চিনা বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে দু’টি ভারতীয় জাহাজ, বিপাকে নাবিকরা]
গত বৃহস্পতিবার সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে সিন্ধ হাই কোর্ট ওমর শেখ ও তার তিন সঙ্গে ফাহাদ নাসিম, শেখ আদিল ও সলমন সাকিবকে ছাড়ার নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, ওমর শেখকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে তার প্রাণভিক্ষার আরজি মেনে সাজা কমিয়ে সাত বছরের করা হয়। গত ১৮ বছর ধরে জেলে রয়েছে ওমর। পাক আদালতের এই রায়ের বিরোধীতায় একটি টুইট করে মার্কিন বিদেশ দপ্তর বলে, “ড্যানিয়েল পার্লের হত্যাকারী জঙ্গিদের ছেড়ে দেওয়ার খবর শুনে আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে সাংবাদিক পার্লের হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।”। মার্কিন বিদেশ দপ্তর আরও জানায়, বিষয়টির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে তারা। এছাড়া, সাহসী সাংবাদিক পার্লের পরিবারের পাশে সবসময় রয়েছে সরকার বলেও আশ্বাস দেয় বিদেশ দপ্তর।
এদিকে, সিন্ধ আদালতের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন ড্যানিয়েল পার্লের বাবা জুডেয়া পার্ল ও মা রুথ। সংবাদমধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তাঁরা পাক সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যায়বিচারের আরজি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, পাকিস্তানের মানুষ এহেন অনাচার ও আইনের অপব্যবহার মেনে নেবে না। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পাকিস্তানে (Pakistan) এসেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল। আইএসআই ও আল কায়দার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করছিলেন তিনি। এরপরই তাঁকে অপহরণ করে ওমর। এরপর তাঁর মাথা কেটে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে সে। এর আগে ১৯৯৪ সালে চারজন বিদেশি পর্যটককে অপহরণ করে ওমর। তখন সে কাশ্মীরে ছিল। বিচারে সাজা হয় তার। গাজিয়াবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন জেলে থাকতে হয়েছে তাকে। পরে ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জেলে থাকার সময় ২০১৪ সালে সে নাকি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল, এমনটা শোনা যায়।