সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েই ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শোনা গিয়েছে, ট্রাম্প নিজেই ফোন করেছিলেন পুতিনকে। আগামী দিনে পুতিন যেন আর যুদ্ধ না বাড়ান, এমনটাই বার্তা দিয়েছেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিপুল ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। তার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু ক্রেমলিনের তরফে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয়নি। তবে দিনকয়েক পরে সোচিতে আয়োজিত ভালদাই ফোরামে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পুতিন বলেন, “বিপুল ভোটে জয়ের জন্য ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই।” সেই সময়েই পুতিনকে প্রশ্ন করা হয়, আগামী দিনে তিনি কী ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন? রুশ প্রেসিডেন্ট জবাব দেন, তিনি কথা বলার জন্য তৈরি। অন্যদিকে নির্বাচনের পর একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পও বলেছেন, “আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক।”
তার পরেই শোনা যায়, ফোনে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। ফ্লোরিডায় নিজের বিলাসবহুল বাংলো থেকেই রিপাবলিকান নেতা ফোন করেন রুশ প্রেসিডেন্টকে। তাঁকে বলেন, ক্রেমলিন যেন আগামী দিনে যুদ্ধের ঝাঁজ না বাড়ায়। ওই ফোনালাপেই ট্রাম্প পুতিনকে মনে করিয়ে দেন, ইউরোপেও মার্কিন সেনাবাহিনি যথেষ্ট সক্রিয়। তবে দুই রাষ্ট্রনেতার এই আলোচনার খবর সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি। আমেরিকা এবং রাশিয়া দুদেশই এই বিষয়টি নিয়ে চুপ।
উল্লেখ্য, পুতিনের সঙ্গে কথা বলার আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেন ট্রাম্প। আলোচনায় উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভের পাশে থাকার বার্তা দেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান নেতা একাধিকবার দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টে কুর্সিতে তিনি থাকলে মোটেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এতখানি গড়াত না। তাহলে কি এবার প্রেসিডেন্টের পদে বসে দুই দেশের সংঘাত মেটাতে পারবেন ট্রাম্প?