সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। হামলা পালটা হামলায় একে অপরকে রক্তাক্ত করছে রাশিয়া-ইউক্রেন। প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। দু'দেশের সংঘাতের বলি নিষ্পাপ শিশুরাও। জো বাইডেনের জমানায় মস্কোর অভিযোগ ছিল, রণক্ষেত্রে কিয়েভকে মদত দিচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু এখন ক্ষমতায় ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বদলে ফেলেছেন হোয়াইট হাউসের রুশনীতি। ইউক্রেনকে তুলোধনা করতেও ছাড়ছেন না। কিন্তু তিনি চান, এই যুদ্ধ এখনই থামুক। কিন্তু শত চেষ্টা করেও এখনও তিনি দু'দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেননি। কিন্তু এবার বড় ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহেই নাকি চুক্তি হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে! তাহলে কি থামছে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ?
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। এমনকী যুদ্ধ শুরু করা নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দুষতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর জেলেনস্কির সঙ্গে কখনও নিজে ফোনে কথা কিংবা প্রতিনিধি পাঠিয়ে শান্তি চুক্তির জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু মাঝে শোনা গিয়েছিল, এই সংঘাত থেকে হাত তুলে নিতে চাইছে আমেরিকা।
এই বিষয়ে কয়েকদিন আগেই মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও জানান, “আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর মধ্যস্থতা করতে রাজি নন। আমরা আর কয়েক সপ্তাহ দেখব। তারপর অন্য কাজে মন দেব। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ওরা শান্তিচুক্তি নিয়ে আগ্রহী নয়। আমরা আর সময় অপচয় করব না। ট্রাম্প বৃথাই এতদিন শক্তিক্ষয় করেছেন।” ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দু'দেশকে চুক্তির পথে আনতে না পারলে আর এই বিষয়ে থাকবেন না ট্রাম্প সেটাই স্পষ্ট ছিল।
তবে গতকাল রবিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল 'ট্রুথে' মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, 'আমরা আশা করছি, এই সপ্তাহেই রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। আমেরিকার সঙ্গে বড় ব্যবসা শুরু করবে তারা। এভাবে সমৃদ্ধ হয়ে তাদের নতুন ভাগ্য তৈরি হবে।' প্রসঙ্গত, এই সংঘাতের শুরুটা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ক্রাইমিয়া দখল করে রুশ ফৌজ। এই ভূখণ্ডকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবেই দাবি করে কিয়েভ। এখন জল্পনা, এই ক্রাইমিয়াকেই রাশিয়ার অংশ হিসাবে মান্যতা দিতে পারে আমেরিকা! এই পদ্ধতিতেই হয়তো যুদ্ধ থামানোর ‘শেষ’ চেষ্টা করবেন ট্রাম্প। কিন্তু ইউক্রেনেও একচুল জমি মস্কোর হাতে তুলে দিতে রাজি নয়। ফলে কোন সূত্রে আমেরিকা এই যুদ্ধ থামায় সেটাই এখন নজর।
