সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সোমবার আমেরিকার (USA) টেক্সাসে একটি ট্রাকের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৪৬ জনের মৃতদেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। সেই ট্রাকের চালককে এবার গ্রেপ্তার করল স্থানীয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারি এড়াতে অসুস্থ হওয়ার ভান করছিল ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় বিচার বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত চালকের নাম হোমেরো জামোরানো। ৪৫ বছর বয়সি ওই ট্রাক চালক টেক্সাসের বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিল সে। সেই সময়েই হোমেরোকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশকে সে জানায়, সেও ট্রাকের মধ্যেই ছিল। কোনওমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানুষ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাবে হোমেরো।
[আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান, মার্কিন হেফাজতে থাকা অর্থভাণ্ডার হাতে পেতে আবেদন তালিবানের]
ক্রিশ্চিয়ান মার্টিনেজ নামে আরও একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। তবে সে কোন দেশের নাগরিক, সেই তথ্য জানায়নি পুলিশ। ট্রাকের মধ্যে মৃতদেহ পাওয়ার ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তারা মেক্সিকোর বাসিন্দা। আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে তাদের। তারপরে আদালতে পেশ করা হবে অভিযুক্তদের।
টেক্সাসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ হয়েছে। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে মানুষ পাচারের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। অনুমান করা হচ্ছে, মৃতদেরও পাচার করার উদ্দেশ্যেই ট্রাকে তোলা হয়েছিল। অন্য মহলের তরফে জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তিরা শরণার্থী হিসাবেই আমেরিকায় আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। সেই কারণেই ট্রাকে (Texas Truck Tragedy) উঠছিল তারা। তবে আমেরিকার বিচার বিভাগ ঘটনাটিকে মানুষ পাচার হিসাবেই দেখছে। সেইভাবেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা সাজানো হচ্ছে। মৃতদের পরিচয় সম্পর্কেও বিশদে জানা যাচ্ছে না। কীভাবে পণ্যবাহী ট্রাকটি মানুষ নিয়ে নানা তল্লাশি পেরিয়ে আমেরিকায় ঢুকল, গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘পুতিন মহিলা হলে ইউক্রেনে হামলা করতেন না’, আজব মন্তব্য বরিস জনসনের]