সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌদি আরবে (Saudi Arabia) মার্কিন দূতাবাসের সামনে বন্দুকবাজের হামলা। গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে দূতাবাসের নিরাপত্তারক্ষী-দুজনের। মৃত্যু হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজেরও। বুধবারের এই ঘটনায় কোনও মার্কিন নাগরিকের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই খবর। প্রসঙ্গত, জেড্ডায় (Jeddah) মার্কিন দূতাবাসে আগেও একাধিকবার হামলা চলেছে। আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার নিশানাতেও থেকেছে মার্কিন কূটনৈতিক ভবন।
সৌদি পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বুধবার আচমকাই মার্কিন (USA) কনস্যুলেটের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে। ভবনের সামনে এসে থেমে যায় গাড়িটি। সেখান থেকে নেমেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে এক বন্দুকবাজ। পালটা গুলিবৃষ্টি শুরু করতে বাধ্য হয় সৌদি নিরাপত্তারক্ষীরাও। দু’পক্ষের গুলির লড়াইতেই মৃত্যু হয় বন্দুকবাজের।
[আরও পড়ুন: ৬ দিন পরে উদ্ধার সাবমেরিন টাইটানের ধ্বংসাবশেষ, মিলল অভিযাত্রীদের দেহাংশও]
গুলিতে আহত হন মার্কিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তারক্ষী। তাঁর হাতে গুলি লাগে। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর। সৌদি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি আসলে নেপালি। সৌদি আরবের একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করতেন তিনি। মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে ছিল তাঁর সংস্থা।
এই ঘটনার পরেই একটি বিবৃতি জারি করে আমেরিকার বিদেশ দপ্তর। সেখানেই জানানো হয়, গুলির লড়াইয়ে কোনও মার্কিন নাগরিক হতাহত হননি। তবে এই ঘটনা নিয়ে সৌদি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আমেরিকা। ঘটনার তদন্তও করবে তারা। তবে জেড্ডার মার্কিন দূতাবাসে হামলা এই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে দূতাবাসের সামনেই এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণে তিনজন আহত হন। ২০০৪ সালে গুলি লেগে মৃত্যু হয় দূতাবাসের নয় কর্মীর। এই ঘটনার নেপথ্যে আল কায়দার হাত ছিল বলেই অনুমান।