সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার হাসপাতালে কার্যত বিনা চিকিৎসাতেই প্রাণ হারিয়েছেন এক ভারতীয় ব্যক্তি! এমনই অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক ঘনাচ্ছে। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁর স্ত্রীর ভিডিও। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গেল, প্রায় আটঘণ্টা হাসপাতালে থাকার পরও যেভাবে তাঁর স্বামীকে প্রাণ হারাতে হয়েছে এর জন্য দায়ী ওই হাসপাতালই। তাদের 'খুনি' বলে তোপ দেগেছেন শোকসন্তপ্ত মহিলাটি।
৪৪ বছরের ওই ভারতীয়র নাম প্রশান্ত শ্রীকুমার। বুকে ব্যথা অনুভব করার পর কানাডার গ্রে নানস কমিউনিটি হাসপাতালে হাজির হন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এমার্জেন্সি রুমের ওয়েটিং এরিয়ায়। সেখানেই ৮ ঘণ্টা রাখা হয় তাঁকে। এই দীর্ঘ সময়ে সামান্য টাইলেনল দেওয়া এবং একবার ইসিজি করা ছাড়া আর কোনওরকম চিকিৎসাই পাননি তিনি। তাঁকে হাসপাতালের তরফে বলা হয় ইসিজি রিপোর্টে কিছু পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী নীহারিকা বলেছেন, ''ও দুপুর ১২.২০টা থেকে রাত প্রায় ৮.৫০ পর্যন্ত ট্রায়েজে বসেছিল। বুকে অবিরাম ব্যথা হচ্ছিল। রক্তচাপও ক্রমাগত বাড়ছিল। শেষ রেকর্ড করা রক্তচাপ ছিল ২১০! অথচ বলা হল কেবল বুকের ব্যথাকে কোনও তীব্র সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয় না। হার্ট অ্যাটাকের কোনো আশঙ্কা করছেন না তাঁরা। বলতে গেলে গ্রে নানস কমিউনিটি হাসপাতালের কর্মচারী ও হাসপাতাল প্রশাসন আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।''
উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন এতক্ষণ অপেক্ষা করার পরও চিকিৎসা শুরু হল না। কেন রক্তচাপের ঊর্ধ্বসীমা ২১০ হওয়ার পরও টাইলেনল ছাড়া আর কিছু দেওয়া হল না। এই পরিস্থিতিতে বেকায়দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালের কর্মী ও রোগীদের নিরাপত্তা ও শুশ্রুষা ছাড়া কোনও কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেক্ষেত্রে এমন ঘটল কী করে, কর্তৃপক্ষের তরফে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
