সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের ব্রহ্মস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। একথা স্বীকার করে নিলেন খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি।
শাহবাজ শরিফকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''৯ ও ১০ মে-র মাঝের রাতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ভারতের আগ্রাসনের জবাব দেব। আমাদের সশস্ত্র সেনা ভোর সাড়ে চারটেয় ফজর প্রার্থনার শেষে ওদের শিক্ষা দেবে বলে পরিকল্পনা করে। কিন্তু তার আগেই ভারত ব্রহ্মস নিয়ে হামলা চালায়। পাকিস্তানের বহু প্রদেশেই আক্রমণ করে। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমান বন্দরও।''
এদিকে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুযায়ী, ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরের পরই সংঘর্ষবিরতির জন্য দিল্লিকে ফোন করে ইসলামাবাদ। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রস্তাব যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল। কারণ, ততক্ষণে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে দিয়েছিল। যদিও এরপর সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। সেই সময়ই হটলাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমওর। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে। যদিও সংঘর্ষবিরতি শুরুর পরও তা লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। সেই সময় ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সেনা কমান্ডারদের তা প্রতিহত করতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। পালটা হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি।
