সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ রয়েছে বলে তোপ দেগেছিল কানাডা। বিতর্কের আবহে এবার অটোয়াকে পালটা দিল নয়াদিল্লি। সন্ত্রাসে মদত দেওয়া এবং ভারতীয় সেনাকে খুনের অভিযোগে কানাডার সীমান্তরক্ষী বাহিনির এক আধিকারিককে প্রত্যর্পণের দাবি জানাল ভারত। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ২৬ জনকে ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি কানাডা।
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের পর থেকে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। নিজ্জরের খুন নিয়ে ভারতকে একের পর এক তোপ দেগেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দেশ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিকদের। কানাডা পুলিশের আরও দাবি, বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ভারত। সাংবাদিক বৈঠকে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের তরফে বলা হয়, কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থীদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। তার জন্য ঘোষিত অপরাধীদের সাহায্য নিতেও পিছপা হচ্ছে না ভারত।
কুখ্যাত গ্যাংস্টারের সঙ্গে ভারতের নাম জড়াতেই কানাডাকে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় নয়াদিল্লি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, তাঁর কথায়, “গোটা ব্যাপারটা খুব আশ্চর্যের। ২৬ জনকে ভারতে প্রত্যর্পণ করার আবেদন জানিয়েছিলাম, তারাই এখন কানাডায় অপরাধ করে বেড়াচ্ছে বলে দাবি সেদেশের পুলিশের। আর তার জন্য দোষ চাপানো হচ্ছে ভারতের উপরে।”
বিদেশমন্ত্রকের এই বিবৃতির রেশ ধরেই ফের কানাডাকে তোপ দাগল ভারত। সূত্রের খবর, সন্দীপ সিং সিধু নামে কানাডার সীমান্তরক্ষী বাহিনির এক আধিকারিককে প্রত্যর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। পাক-খলিস্তানি জঙ্গি লখবির সিং রোডের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে বলে খবর। এমনকি শৌর্যচক্র পাওয়া সেনা জওয়ান বলবিন্দর সিং সান্ধুকে খুনের নেপথ্যেও এই সন্দীপের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। সানি টরন্টো নামে অপরাধ জগতে যথেষ্ট পরিচিত কানাডার সীমান্তরক্ষা বাহিনির এই সদস্য়, এমনটাই অনুমান।