সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯ ও ১০ মে ভারতের পালটা মার খেয়ে সংঘর্ষবিরতির জন্য মিনতি করে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত আমেরিকার মধ্যস্ততায় শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হয়। যদিও এখন দেশবাসীর কাছে মুখ পোড়ায় উলটো কথা বলছে পাকিস্তান। পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার রাতে পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র লেফটেনান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরী দাবি করেছেন, পাকিস্তান কখনওই সংঘর্ষবিরতির জন্য অনুরোধ করেনি। ঠিক কী বলেছেন পাক সেনাকর্তা?
গত কয়েক দিনে জঙ্গি দমনে ভারতীয় সেনার ‘শিব তাণ্ডব’ দেখেছে গোটা বিশ্ব। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে এবং জঙ্গিবাদ দমনে ভারতের অপারেশন সিঁদুর। তবে সাধারণ পাকিস্তানিদের কথা মাথায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে টার্গেট চিহ্নিত করে অপারেশন চালানো হয়। নিহত হয় ১০০ জনের বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনা। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে ছবি ও ভিডিওর প্রেজেন্টেশনে শত্রু দমনে কীভাবে সাফল্য এসেছে তা ব্যাখ্যা করে ভারতীয় সেনা। সেই সময় ভারতের ডিজিএমও নিশ্চিত করেন---শনিবার দুপুর ৩ট বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ পাকিস্তানের ডিজিএমও তাঁকে হটলাইনে সংর্ঘষবিরতির জন্য অনুরোধ করেন।
যদিও ভারতের সেনকর্তার বক্তব্য অস্বীকার করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধরী। তিনি বলেন, "লিখে রাখুন যে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেনি।" তবে পরমাণু শক্তিধর দুটি দেশের মধ্যে যে যুদ্ধের আবহ থাকা উচিত নয়, সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এইসঙ্গে ভারতের দাবি উলটো পাক সেনার জয়গান করেন সেনাকর্তা। তিনি জানান, সাম্প্রতিক সংঘাত পরিস্থিতিকে দায়িত্বের সঙ্গে সামলেছে পাকিস্তান। রক্ষণ সামলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি। মঙ্গলবার রাত একটা পাঁচ থেকে দেড়টার মধ্যে পঁচিশ মিনিটের অপরেশন চালিয়ে বদলা নিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সওয়া নাল্লা, সারজাল, মুরিদকে, কোটলি, কোটলি গুলপার, মেহমোন্না জোয়া, ভিমবের এবং ভাওয়ালপুরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। বায়ুসেনার এই অভিযানে অন্তত ১০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে পাকিস্তান টার্গেট করলে পালটা হামলা চালায় ভারত। তাতে পাকিস্তানের একাধিক শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস হয়। ক্রমশ মার খাওয়া পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত হটলাইনের সংঘর্ষবিরতির জন্য ফোন করে ভারতের ডিজিএমওকে।
