সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা পাকিস্তানের। পালটা, পড়শি দেশটিকে ‘সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা’ বলে তোপ দেগেছে ভারত। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মঞ্চটিতে আবার কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নয়াদিল্লির উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কিন্তু ভারত নিজের বার্তায় স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ইট মারলে পাটকেল হজম করতে হবে।
এদিন নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় কাশ্মীর ইস্যুতে সরব হন শাহবাজ শরিফ। ভারতের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও একতরফা বলে তোপ দাগেন পাক প্রধানমন্ত্রী। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, “ভারত-সহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা শান্তি চাই। দক্ষিণ এশিয়ায় চিরস্থায়ী শান্তি ও স্থিতাবস্থার পক্ষে পাকিস্তান। কিন্তু এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের উপর।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, শান্তির কথা বললেও নিজের ভাষণে শরিফ বলেন যে, পাকিস্তানের কাছেও পর্যাপ্ত হাতিয়ার রয়েছে। এই কথা মাথায় রাখতে হবে ভারতকে।
[আরও পড়ুন: হিজাব পরতে অস্বীকার সাংবাদিকের, সাক্ষাৎকার দিলেন না ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি]
এদিকে, কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপনের পর পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছে ভারত (India)। রাষ্ট্রসংঘেরে সাধারণ সভয়া ‘উত্তর দেওয়ার অধিকার’ প্রয়োগ করেন নয়াদিল্লির প্রতিনিধি ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিত ভিনিত। অত্যন্ত কড়া শব্দ প্রয়োগ করে তিনি বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ ব্যবহার করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। নিজের দেশের ধূসর কীর্তিকলাপ ঢাকতেই এমনটা করেছেন তিনি। যারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি চায় তারা কখনও সন্ত্রাস রপ্তানি করবে না। তারা মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের আশ্রয়ও দিত না। ভারতও শান্তি চায়। তবে সন্ত্রাস থামলে তবেই তা সম্ভব।”
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে লাগাতার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে আইএসআই। পালটা অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) হত্যাকারীদের খতম করে জেহাদিদের কোমর ভেঙে দিয়েছে সেনাবাহিনী। নয়াদিল্লিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষিক ইস্যু এতে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।