সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। পাকিস্তানে হামলা করতে কি চাণক্যের এই প্রাচীন কূটনীতির সাহায্য নিচ্ছে ভারত? তেমনটাই আভাস মিলছে ভারতের বিশেষ দূত আনন্দ প্রকাশের পদক্ষেপে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের বিশেষ প্রতিনিধি কাবুলে উড়ে গিয়ে তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে কি পাকিস্তানের 'শত্রু' তালিবানের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ভারত?
পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তা প্রত্যাহার করেছে লস্করের টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। সবমিলিয়ে, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নৃশংস হত্যালীলার পরে ভারতীয় স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বিমান বাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। তিন বাহিনীর তরফে যুদ্ধের মহড়াও করা হয়েছে। যুদ্ধ প্রস্তুতির বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছে তিন বাহিনী। পাকিস্তানের উপর ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে নয়াদিল্লি। পালটা দিয়েছে ইসলামাবাদও। তবে কূটনৈতিক 'যুদ্ধ' চললেও তলায় তলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত-পাকিস্তান দু'পক্ষই।
এহেন পরিস্থিতিতে কাবুলে গিয়েছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের আফগানিস্তান, ইরান এবং পাকিস্তান দপ্তরে ডিরেক্টর আনন্দ প্রকাশ। তালিবান বিদেশমন্ত্রী মৌলবি আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। ভারত-আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য এবং যান চলাচল নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের। তবে চর্চা চলছে পাকিস্তানে সঙ্গে সংঘাতের আবহে ভারতীয় দূতের আফগানিস্তান সফর ঘিরে। বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তানে আক্রমণ করতে গেলে আফগান সাহায্য ভারতের প্রয়োজন হতে পারে। সেটা নিশ্চিত করতেই কি আনন্দের আফগানিস্তান যাত্রা?
