সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলি সেনার দাপট। তার মধ্যেই তেল আভিভের আকাশে কালো মেঘ। যখন তখন হামলা চালাতে পারে ইরান। আর তার আগে আমেরিকাকে সরে দাঁড়াতে বলল তেহেরান।
গত সপ্তাহেই সিরিয়ায় (Syria) ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়। যাঁদের মধ্যে ছিলেন দুজন সেনাকর্তাও। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের ‘হাত’ দেখছে ইরান (Iran)। আর তারই বদলা নিতে এবার ইজরায়েলে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তারা।
[আরও পড়ুন: আজও ‘টাচ’ করা যায়নি, কোন জাদুতে এখনও অমলিন ব্র্যান্ড সুচিত্রা?]
আর এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনকে 'নেতানিয়াহুর ফাঁদে' না পড়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী প্রধান মহম্মদ জামশিদি জানিয়েছেন, পালটা আমেরিকাও নাকি ইরানকে অনুরোধ করেছে, তারা যেন মার্কিন কোনও শিবিরে আঘাত না হানে। যদিও আমেরিকার তরফে এই দাবির সত্যাসত্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সব মিলিয়ে ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের মধ্যেই ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাত চরমে পৌঁছে যাওয়া পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
এদিকে হামলার ভয়ে ত্রস্ত ইজরায়েল (Israel)। সেদেশের একটা বড় অংশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জিপিএস পরিষেবা। বৃহস্পতিবার থেকে ইজরায়েলের মধ্যাঞ্চলে আচমকাই ব্যাহত হতে থাকে জিপিএস পরিষেবা। জানা যায়, প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ। জোরদার করা হয়েছে আকাশপথে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সেনা জওয়ানদের ছুটিও।
[আরও পড়ুন: ইডির পর NIA, এবার ভূপতিনগরে ‘আক্রান্ত’ কেন্দ্রীয় এজেন্সি]
যদিও শেষপর্যন্ত ইরান সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করবে কিনা সেটাই দেখার। কেননা ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের (Lebanon) হেজবোল্লা জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালালেও এখনও কিন্তু ইরান নিজেদের ইজরায়েলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাত থেকে দূরেই সরিয়ে রেখেছে।