সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ান! এমনটাই জানা গিয়েছে ইরান রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস সূত্রে। তাদের দাবি, হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে নিকেশ করার ছকেই পেজেস্কিয়ানকেও হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইজরায়েল। তবে সামান্য আঘাত লাগা ছাড়া কোনও ক্ষতি হয়নি ইরানি প্রেসিডেন্টের।
গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। মৃত্যু হয় ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। প্রাণ হারান ইরানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি শামখানিরও। এছাড়াও পারমাণবিক গবেষণাকারী অন্তত ৯ জন বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়।
১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধে একাধিকবার হুংকার দিতে দেখা যায় ইজরায়েলের নেতা-মন্ত্রীদের। তাঁদের দাবি ছিল, ইরানের সর্বোচ্চ শাসক আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে নিকেশ করা হবে। ইজরায়েলের 'হিটলিস্টে' পেজেস্কিয়ানও ছিলেন, এমনটা অবশ্য শোনা যায়নি। কিন্তু যুদ্ধ থেমে যাওয়ার বেশ কয়েকদিন পরে আইআরজিসির দাবি, পেজেস্কিয়ানকে নিশানা করেও হামলা চালায় ইজরায়েল। কিন্তু ইরানি প্রশাসনের তৎপরতায় রক্ষা পান পেজেস্কিয়ান-সহ ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতা।
আইআরজিসির ঘনিষ্ঠ ফার্স নিউজ এজেন্সির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত ১৬ জুন তেহরানের পশ্চিম এলাকার একটি ভবন লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে ইজরায়েল। ওই ভবনে ইরানের স্পিকার, বিচারবিভাগের প্রধান-সহ একঝাঁক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পেজেস্কিয়ান। সেই সময়েই ওই ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। যেন ভবন থেকে কেউ বেরতে না পারে, তাই বেরনোর পথেও চলছিল হামলা। ঠিক যে পদ্ধতিতে নাসরাল্লাকে নিকেশ করেছিল ইজরায়েল, সেই কৌশলই নেওয়া হয়েছিল পেজেস্কিয়ানের ক্ষেত্রে। তবে শেষ পর্যন্ত নিরাপদে উদ্ধার করা হয় ইরানি প্রেসিডেন্টকে। পায়ে সামান্য আঘাত লাগে তাঁর।
