সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে এভাবেই হুমকি দিলেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইজরায়েল কাতজ।
এদিন সকালে ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরানি বাহিনী। জেনেভা কনভেনশানের পরোয়া না করে ইহুদি দেশটির দক্ষিণ প্রান্তে বের-শেভা শহরে একটি হাসপাতালে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর তরফ থেকে এই হুমকিবার্তা এসেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কাতজ বলেন, “খামেনেই প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যে তিনি ইজরায়েলকে ধ্বংস করতে চান। তাঁর নির্দেশেই হাসপাতালে গুলি চালিয়েছে ইরানি সেনা। ইজরায়েলকে ধ্বংস করাই এখন তাঁর লক্ষ্য।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আমরা যা নির্দেশ দেওয়ার দিয়ে দিয়েছি। খামেনেইয়ের মতো একজন শাসক, যাঁর লক্ষ্য ইজরায়েলকে ধ্বংস করা, তাঁর বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই।” প্রসঙ্গত, এর আগে ঠিক একইভাবে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও। এই অবস্থায় যুদ্ধের আঁচ থেকে ৮৬ বছরের শীর্ষনেতাকে বাঁচাতে তাঁকে গোপন আস্তানায় রাখা হয়েছে বলে খবর।
বৃহস্পতিবার সকালে ইরানের হামলার পর পালটা দেয় ইজরায়েল। ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে ফের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইহুদি দেশটির বিরুদ্ধে। ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, খোনদাব শহরে ভারী জলের গবেষণাকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। বস্তুত, এই ভারী জল পরমাণু রিঅ্যাক্টরকে শীতল রাখতে ব্যবহার করা হয়। যদিও ইরানের দাবি, হামলার আগেই ওই কেন্দ্রটিকে ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে সেখান থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়ানোর আশঙ্কা নেই।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের তরফে। এই হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। পাশাপাশি ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনায় হত্যা করে ইজরায়েল। এই ঘটনার পর ফের মধ্যপ্রাচ্যে বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা। ইজরায়েলের দাবি, ইরান পরমাণু বোমার খুব কাছে ছিল। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে মৃত ৬০০-র বেশি। এর মধ্যে ইরানেই মৃত্যু হয়েছে ৫৮৫ জনের।
