shono
Advertisement

OMG! স্বামী নয়, ডিভোর্স মামলায় ছেলের কাছ থেকে মোটা টাকা পাচ্ছেন মহিলা!

ব্যাপারটা কী?
Posted: 04:12 PM Apr 24, 2021Updated: 08:40 PM Apr 24, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণত বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় খোরপোশ দিতে বলা হয় স্বামীকে। ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ডিভোর্স (Divorce) মামলায় হল একেবারে আলাদা ব্যাপার। ছেলেকে নির্দেশ দেওয়া হল, তিনি যেন তাঁর মাকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেন। কারণ তিনি তাঁর মায়ের কাছ থেকে নিজের সম্পত্তি লুকিয়েছিলেন। বিচারকের কথায় পুত্রটি “একজন অসৎ ব্যক্তি, যে নিজের বাবাকে সাহায্য করার জন্য যা কিছু করতে পারে।”

Advertisement

ফারখাদ আখমেদভের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী তাতিয়ানা আখমেদভা যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন, তার রায় ঘোষণা করে বলা হয়েছিল, খোরপোশ বাবদ স্ত্রীকে ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ড (৬২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দিতে হবে ব্যবসায়ীকে। বিলিয়নেয়ার বাবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তেমুর আখমেদভ নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যাতে তাঁর মা খোরপোশের পুরো টাকা না পান। বিচারক গোয়েনেথ নোলস ঘোষণা করেছেন, মাকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ দিতে হবে তেমুরকে।

[আরও পড়ুন: করোনা আবহে ভারত সফর বাতিল করলেন রাশিয়ার ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার]

এই মামলা ঘিরে আগ্রহ তুঙ্গে ওঠে যখন তেমুর স্বীকার করেন, কলেজে পড়াকালীন একদিনের ব্যবসায় তিনি ৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি লোকসান করেছিলেন। তাঁর দাবি, বাবার আয় করা টাকার মূল্য তিনি মায়ের কাছ থেকে লুকোননি। বরং নিজের দোষেই সেই টাকা খুইয়েছেন। কিন্তু বিচারক তেমুরের কথা বিশ্বাস করেননি। তিনি বলেছেন, “বাবার অতীত ব্যবহার থেকে ভালই শিক্ষা পেয়েছে তেমুর। বৈবাহিক সম্পত্তি থেকে যাতে মা একটা পয়সাও না পান, তা নিশ্চিত করতে যা করা আর বলা সম্ভব, সব করেছে তেমুর।”

২০১২ সালের নভেম্বর মাসে রাশিয়ান তেল সংস্থায় নিজের স্বত্ব বেচে ১.৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন আজারবাইজানে জন্ম নেওয়া ফারখাদ। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তাতিয়ানাকে কোনও টাকা দিতে রাজি হননি তিনি। টাকা চেয়ে অন্তত আধডজন দেশে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তাতিয়ানা। লন্ডনের অভিজাত হাইড পার্কের অ্যাপার্টমেন্ট, একটি বিলাসবহুল ৩৭৭ ফুট ইয়ট এবং ১৪০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মডার্ন আর্টের মালিকানাও দাবি করেন তাতিয়ানা।

[আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ছক! ভয়াবহ বিস্ফোরণ পাকিস্তানের বিলাসবহুল হোটেলে]

পুত্র তেমুরের বিরুদ্ধে রায় প্রকাশের পর ফারখাদ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “লন্ডন আদালতের এই রায় অন্যায়। বাবার তথাকথিত পাপের দায় তারা নির্দোষ এবং বিশ্বস্ত পুত্রের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদের রায় ঘোষণা করেছিল আদালত। যার পর প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোশ দেওয়ার দায়িত্ব এড়াতে রাশিয়ায় (Russia) চলে যান ফারখাদ। কিন্তু ব্রিটেনের নাগরিক তেমুরের বিরুদ্ধে লন্ডন আদালত যেহেতু রায় দিয়েছে, এবার তাতিয়ানার পক্ষে টাকা আদায় করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে তেমুর বলেছিলেন, তাতিয়ানা যে টাকা আদায় করতে নিজের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তা ‘অত্যন্ত ভয়াবহ’।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement