shono
Advertisement
Mark Carney

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি, মসনদে বসেই 'শুল্কযুদ্ধ' নিয়ে ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি

কানাডার একের পর এক পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ট্রাম্প।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 01:43 PM Mar 10, 2025Updated: 02:54 PM Mar 10, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন মার্ক কারনি। লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে তাঁকেই বেছে নিয়েছেন দলের সদস্যরা। জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েই তিনি একহাত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই মুহূর্তে আমেরিকার সঙ্গে 'শুল্কযুদ্ধে' জড়িয়েছে কানাডা। সেদেশের একের পর এক পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ট্রাম্প। এবার এই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তীব্র নিন্দা করলেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

জানা দিয়েছে, দলীয় ভোটে মার্ক কারনিকে বেছে নেন লিবারেলরা। আর মসনদে বসিয়েই তিনি শুল্ক নিয়ে তোপ দাগেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম ভাষণে কারনি বলেন, "আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প ফেরায় কালো দিন শুরু হয়েছে। তিনি কানাডার অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য় অযৌক্তিক শুল্ক চাপাচ্ছেন। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করছি তাঁর এই উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না। আমরা নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলব এবং আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করব। আমরা প্রতিশোধ নেব। পালটা শুল্ক আরোপ করব। যার সর্বোচ্চ প্রভাব আমেরিকার উপর পড়বে। ওরা যদি আমাদের সম্মান দেখায় তাহলেও আমাদের শুল্ক বহাল থাকবে। কানাডা কখনই যুদ্ধকে আহ্বান জানায় না। কিন্তু কেউ যদি সেটা চায় তাহলে জয় আমাদেরই হবে।" প্রসঙ্গত, ৫৯ বছরের মার্ক কারনির কোনও সরকারি পদে থাকার অভিজ্ঞতা নেই। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে কাজ করেছেন।

বলে রাখা ভালো, সাদা বাড়ির অধীশ্বর হওয়ার পরই মার্কিন শুল্কনীতিতে বিরাট পরিবর্তন এনেছেন ট্রাম্প। দিন দুয়েক আগেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কানাডার দুগ্ধজাত পণ্যে  চাপানো হবে ২৫০ শতাংশ শুল্ক। শুধু দুগ্ধজাত পণ্য নয়, কানাডা থেকে আমদানি করা কাঠেও একই হারে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়িত হলে কানাডা যে বিরাট চাপে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির যে পরোয়ানা করছেন না তা এদিন স্পষ্ট করে দিলেন কারনি। পালটা দিতে তিনিও প্রস্তুত। 

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন ট্রুডো। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল লিবারাল পার্টির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের দলনেতার পদও ছাড়ারও ঘোষণা করেন তিনি। জানিয়ে দেন কানাডার পরবর্তী নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০২৫ সালের অক্টোবরে কানাডায় নির্বাচন। এবার যে তাঁর পক্ষে মসনদে ফেরা অত্যন্ত কঠিন, সেটা বুঝতে পেরেছিলেন ট্রুডো। ভারত-বিদ্বেষ এবং ‘খলিস্তান প্রেমের’ জন্য দলের অন্দরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। লিবারেল পার্টির অধিকাংশই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের পক্ষে। তাছাড়া, অর্থনৈতিক শৈথিল্য, কর্মসংস্থান, মুদ্রাস্ফিতী এবং বাণিজ্য নীতি নিয়েও যথেষ্ট ক্ষোভ তৈরি হয়। এক জনমত সমীক্ষায় বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির জয়জয়কার রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দেয় লিবারেলদের। তাই দলের অন্দরেই 'গদি ছাড়ো' ধ্বনি ওঠে। প্রবল চাপে ইস্তফা দেন ট্রুডো। তারপর থেকেই তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, সেনিয়ে নানা জল্পনা চলছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন মার্ক কারনি। লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে তাঁকেই বেছে নিয়েছেন দলের সদস্যরা।
  • জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েই তিনি একহাত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
  • এই মুহূর্তে আমেরিকার সঙ্গে 'শুল্কযুদ্ধে' জড়িয়েছে কানাডা। সেদেশের একের পর এক পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ট্রাম্প।
Advertisement