shono
Advertisement

লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় মৃত অন্তত হাজার, ডারনা শহরের ২৫ শতাংশই নিশ্চিহ্ন!

নিখোঁজ অন্তত ৬ হাজার নাগরিক।
Posted: 04:52 PM Sep 12, 2023Updated: 04:52 PM Sep 12, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিবিয়ার (Libya) ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১ হাজার মানুষের। ডারনা শহরের স্থানীয় প্রশাসনের অনুমান, এই সংখ্যাটা দ্রুত বাড়বে। শেষ পর্যন্ত ২ হাজারেও পৌঁছে যেতে পারে মৃতের সংখ্যা। শহরের অন্তত ২৫ শতাংশ এলাকা বন্যার কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন লিবিয়ার স্থানীয় প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত বন্যায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৬ হাজার মানুষ।

Advertisement

পূর্ব লিবিয়ার মন্ত্রী হিচেম চকিওয়াত জানান, বন্যার কারণে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ডারনা শহর। নানা এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মৃতদেহ। আপাতত ১ হাজার দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে এই সংখ্যাটা একেবার প্রাথমিক। শেষ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। বন্যার জেরে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে লিবিয়ার ডারনা শহর। হিচেম জানিয়েছেন, “আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি না। তবে এই বন্যায় শহরের অন্তত ২৫ শতাংশ একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে।” 

[আরও পড়ুন: নজরে অস্ত্র চুক্তি? পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে সাঁজোয়া ট্রেনে রাশিয়া পৌঁছলেন কিম]

বন্যার পর রেড ক্রসের তরফে প্রাথমিকভাবে বলা হয়, ১৫০ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। সোমবার এই পরিসংখ্যান প্রকাশ হয়েছিল। মাত্র একদিনের মধ্যেই লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। লিবিয়ার সেনার অনুমান, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বন্যা হওয়ার ফলে বহু মানুষ সাগরে ডুবে গিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থাগুলির মতে, ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।

বন্যাবিধ্বস্ত ডারনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে বেশ কয়েকটি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। ঘুমের মধ্যেই জলে ভেসে গিয়েছে তাঁদের বাড়ি। অনেক এলাকায় প্রায় ১০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে লিবিয়ার একাধিক এলাকায়। ইতিমধ্যেই বন্ধু রাষ্ট্রগুলি থেকে ত্রাণ চেয়ে আবেদন করেছে লিবিয়ার প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: ‘চূড়ান্ত সফল’, জি-২০ আয়োজক দেশ ভারতকে দরাজ সার্টিফিকেট আমেরিকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement