সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছে মাঙ্কিপক্স আতঙ্ক। অতিমারীর আবহেই মাঙ্কিপক্সকে (Monkeypox) ঘিরে নানা গুঞ্জনের শেষ নেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO আস্বস্তই করছে সকলকে। ‘হু’ জানিয়ে দিল, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে আটকানো সম্ভব।
WHO’র প্রযুক্তি বিভাগের শীর্ষকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ”এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে মাঙ্কিপক্সকে রুখে দেওয়া সম্ভব। তবে সেজন্য সঠিক পদক্ষেপ করতে হবে। সময় কিন্তু চলে যাচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত একসঙ্গে মিলে লড়াই করা।”
[আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে করিডর বানাতে তৃতীয় দেশকেও শামিল! চিন ও পাকিস্তানকে একহাত ভারতের]
উল্লেখ্য, গত শনিবারই মাঙ্কিপক্স (Monkeypox) সংক্রমণ নিয়ে গোটা বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। ইতিমধ্যে ৭৫টি দেশে ১৬ হাজার মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে। সন্দেহভাজন আরও হাজার দেড়েক। অধিকাংশই ইউরোপের বাসিন্দা। ভাইরাসটি অতি সংক্রামক হওয়ায় ঝড়ের গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে। যে দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্স বিরাট পরিমাণে ছড়াতে পারেনি তাদেরকে সংক্রমণ রুখতে পরামর্শ দিয়েছেন হু-র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পেলেই তাঁকে নিভৃতবাসে রেখে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছে হু। এছাড়াও সামনের সারিতে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন কেরলের এক ব্যক্তি। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ফিরেছিলেন। ওই ব্যক্তি বিদেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলেও জানা গিয়েছিল। এছাড়াও দুবাই থেকে কেরলে ফেরা আরও এক যুবক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেশে চারজনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: গুজরাটে বিষমদে মৃত্যু অন্তত ২৮ জনের, খুনের অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ]
এদিকে মঙ্গলবারই উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে সেরাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলিতে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের জন্য বেড নির্দিষ্ট করার কথা জানিয়েছে। যদিও এখনও উত্তরপ্রদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তবুও আগে থেকে সতর্ক থাকতে চাইছে যোগী সরকার।