সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে একশো এফ-৩৫আই জেটের সাহায্যে হামলা চালিয়েছে তেল আভিভ। জোরালো গুঞ্জন, আমেরিকার 'নির্দেশে'ই এই হামলা। কিন্তু এবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করলেন, মার্কিন হুকুম নয়, জাতীয় স্বার্থেই ইজরায়েলি সেনা হামলা চালিয়েছে ইরানের সেনা ঘাঁটিতে।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে জাতীয় স্বার্থে। মোটেই মার্কিন নির্দেশে নয়।'' আসলে শনিবারের হামলার পর আমেরিকা পরিষ্কার করে দিয়েছে, যদি এই হামলার জবাব দেয় ইরান, তাহলে ইজরায়েলের পাশেই থাকবে হোয়াইট হাউস। এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই গুঞ্জন জোরালো হয়েছে। যা এবার নস্যাৎ করে দিলেন নেতানিয়াহু।
উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। যার বদলা নিতে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছিল তেল আভিভ। আক্রমণ শানাতে সেনা কর্তাদের সঙ্গে এতদিন ‘নীল নকশা’ তৈরি করছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। অবশেষে শনিবার ইরানের আকাশে হানা দেয় ইজরায়েলি ফৌজের একশোটি এফ-৩৫আই জেট। ইরানি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু বোমা ফেলা হয়। বিস্ফোরণ ঘটে তেহরান-সহ একাধিক জায়গায়। বিবৃতি দিয়ে ইরানি সেনা জানিয়েছে, ‘সেনাঘাঁটিতে জায়নবাদী রাষ্ট্রের হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আমাদের দুই সৈনিক জীবন উৎসর্গ করেছেন।” এদিন ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরাক ও সিরিয়াতেও। সমর বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইরানকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দেওয়াই ইজরায়েলের পরিকল্পনা ছিল। তেহরান জানত কোনও না কোনও দিন হামলা চালাবে ইজরায়েল। সেইভাবেই চলছিল হামলা ঠেকানোর প্রস্তুতি। কিন্তু যেভাবে তেহরান, খুজেস্তান ও ইলামে আঘাত হেনেছে ইজয়ারেলি সেনা তাতে ধাক্কা খেয়েছে ইরানের সমস্ত প্রস্তুতি। আর এই হামলার পিছনে 'জাতীয় স্বার্থে'র কথাই বলতে শোনা গেল নেতানিয়াহু।