সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিল্পপতি, অভিনেতা, রাজনীতিবিদ পেরিয়ে এবার এপস্টেইন ফাইলে (Epstein Files) নাম জড়াল নওম চমস্কির। কিছুদিন আগেই, রাজনৈতিক চাপের সামনে মাথা নোয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রয়াত মার্কিন যৌন অপরাধী ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে জড়িত সব ফাইল জনসমক্ষে আনার বিষয়ে একটি বিলে সই করেছেন তিনি। এবার এপস্টেইন-বানে বিদ্ধ প্রখ্যাত চিন্তাবিদ।
প্রকাশিত তালিকায় যে নাম সবাইকে চমকে দিয়েছে তা হল নওম চমস্কি। বিখ্যাত শিক্ষাবিদ চমস্কি এপস্টেইনকে 'অত্যন্ত মূল্যবান বন্ধু' হিসাবে উল্লেখ করেন। এছাড়াও, তথ্যে যাঁদের নাম দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাক্তন প্রধান ভোটকৌশলি স্টিভ ব্যানন। এপস্টাইনের সঙ্গে রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে কথা বলেন তিনি। এছাড়াও রয়েছেন, প্রাক্তন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি এবং হার্ভার্ডের সভাপতি ল্যারি সামারস। অন্যান্য তথ্যে নাম রয়েছে, এলন মাস্ক, প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের। এরা প্রত্যেকেই জানিয়েছে তাঁরা কোনও অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত নন। যদিও এই ফাইলে নাম থাকলেই তিনি অপরাধী এমন নয় বলেই জানানো হয়েছে সরকারি দপ্তরের তরফে।
এপস্টেইন ফাইলস ট্রান্সপারেন্সি অ্যাক্ট নামে পরিচিত এই বিলটিতে বিচার বিভাগকে এপস্টেইন মামলার তদন্ত সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য "অনুসন্ধানযোগ্য এবং ডাউনলোডযোগ্য ফর্ম্যাটে' ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হতো। এই বিলে সই করার পর থেকেই এপস্টেইন বাণে বিদ্ধ বিরোধী থেকে শাসক বহু নেতা। রেহাই পাননি অন্যান্য ক্ষেত্রের বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। মার্কিন হাউস ওভারসাইট কমিটি প্রকাশিত ২৩ হাজারে বেশি ইমেল, টেক্সট এবং নথিপত্র প্রকাশ করেছে। সেই তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও এপস্টাইনের প্রভাব বছরের পর বছর ধরে অব্যাহত ছিল।
২০০৬ সালে এপস্টাইনের কথা প্রথমবার সামনে আসে। ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকার বাবা-মা অভিযোগ করেন, এপস্টেইন তাঁদের মেয়েকে পাম বিচের প্রাসাদে যৌন নির্যাতন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও, এপস্টেইন অত্যন্ত বিতর্কিত এই মামলায় রেহাই পান। এরফলে তিনি ফেডারেল অভিযোগ এড়ানোর সুযোগ পান। মাত্র ১৩ মাস একটি কাউন্টি কারাগারে ছিলেন তিনি। পাশাপাশি নিজেকে যৌন অপরাধী হিসেবে নথিভুক্ত করতে বাধ্য হন তিনি।
