সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের ফলে অভূতপূর্ব সংকটের পরিস্থিতি পাকিস্তানে। কোথাও জলকষ্ট, কোথাও বন্যা পরিস্থিতি! দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেশবাসীর শুকিয়ে মরার অবস্থা। অভাবনীয় সংকট থেকে বাঁচতে ফের ভারতের কাছে কাকুতি-মিনতি শুরু করল পাকিস্তান। সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করবেন না, কাতর আর্জি নিয়ে ভারত সরকারকে চিঠি লিখল ইসলামাবাদ।
পাক সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে ভারতের বিদেশমন্ত্রককে চিঠি লিখে আর্জি জানানো হল, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করবেন না। ভারত সরকার ওই চুক্তি বাতিল করে দেওয়ার ফলে পাকিস্তানে যে সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা মেনেও নিয়েছে সে দেশের জলশক্তি মন্ত্রক। যদিও ভারত সরকার একদিন আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, যতদিন না পাক সরকার সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া বন্ধ না করছে ততদিন সিন্ধু চুক্তি স্থগিতই থাকবে।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পরই সিন্ধু চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। এর পর ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করে। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। নিকেশ হয় শতাধিক জঙ্গি। পরে পাকিস্তানের অনুরোধে সংঘর্ষবিরতিতেও সায় দিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু সংঘর্ষবিরতিতে সায় দিলেও সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। এবার সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল ইসলামাবাদ।
বলে রাখা দরকার, ভারত সরকারের কাছে কাতর আর্জি জানানোর আগে সিন্ধু চুক্তি নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কেরও দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। কিন্তু সেখানেও হতাশ হতে হয় ইসলামাবাদকে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক সাফ জানিয়ে দেয়, তাঁদের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি হলেও সেই চুক্তিতে দুই দেশের অসন্তোষ বা আপত্তি নিয়ে মধ্যস্থতা করার দায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের নেই। দুদেশের কেউ এই চুক্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করলে বিশ্বব্যাঙ্ক শুধু সেই সমস্যা সমাধানের জন্য নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ঠিক করে দিতে পারে। নিজেরা মধ্যস্থতা করতে পারে না। অর্থাৎ ভারত যদি চুক্তি বাতিল করেও তাতে কিছু বলার থাকবে না বিশ্বব্যাঙ্কের।
