সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে বালোচিস্তান (Balochistan)। বিদ্রোহীদের সঙ্গে লাগাতার চলছে পাক সেনার লড়াই। বিদ্রোহ দমনে নির্বিচারে গুমখুন চালাচ্ছে পাক ফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে আবারও রক্তাক্ত হল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার বালোচিস্তানের মুসলিম বাগ এলাকায় আধা সামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কন্সটেব্যুলারির ক্যাম্পে হামলা হয়। ওই হামলায় নিহত হয়েছেন দুই জওয়ান। মৃত্যু হয় দুই হামলাকারীরও। পাক সেনার তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, হামলাকারীদের পাকড়াও করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছে বালোচরা। পালটা গুমখুন, হত্যা ও ধর্ষণের মতো অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে বিদ্রোহের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বিশেষ করে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হওয়ার পর থেকেই আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে বালোচিস্তান। অভিযোগ, খনিজ সমৃদ্ধ প্রদেশটিকে কার্যত লুট করছে ইমরান খানের প্রশাসন। প্রতিদানে বালোচ জনতা পেয়েছে শুধু নির্যাতন ও দারিদ্র।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, গত নভেন্বরে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা পাকিস্তানি তালিবানের (TTP) সঙ্গে ইসলামাবাদের শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় হিংসা বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাবে তারা। পরিস্থিতি আরও জটিল করে এবার পাক তালিবানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বালোচ বিদ্রোহী সংগঠনগুলি।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল দেবে ব্রিটেন, নিশানায় খাস রুশ জমি!]
প্রসঙ্গত, ২০১৫-তে স্বাক্ষর হওয়া মউয়ের ভিত্তিতে চিন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে৷ চিনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির উপর ভিত্তি করে, তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে৷ পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে৷ এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালোচিস্তান-সহ গিলগিট-বালতিস্তান ও পিওকে-র নাগরিকরা৷ অভিযোগ, পেশিশক্তির জোরে তাঁদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান৷ যাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে চিন৷