shono
Advertisement

এবারও সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ ইমরান খানের দেশ, FATF-এর ধূসর তালিকাতেই রইল পাকিস্তান

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি অবধি এই তালিকায় থাকতে হবে পাকিস্তানকে।
Posted: 08:18 PM Oct 23, 2020Updated: 08:24 PM Oct 23, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে ফের ব্যাকফুটে পাকিস্তান। এবারও এফএটিএফের (FATF) ধূসর তালিকা থেকে মুক্তি পেল না ইমরান খানের দেশ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই তালিকাভুক্তই থাকতে হবে পাকিস্তানকে। শুক্রবার জানিয়ে দিল FATF। যদিও বন্ধু ইমরানের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল তুরস্ক। কিন্তু লাভ হয়নি। বলাই বাহুল্য FATF-এর এই সিদ্ধান্তের জেরে আরও বিশ্ব রাজনীতির পাশাপাশি নিজের দেশেও মুখ পুড়ল ইমরান খানের।

Advertisement

এই মুহূর্তে পাকিস্তানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান (Pakistan) কি গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে? স্বাভাবিক ভাবেই প্রবল চাপে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আর্থিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক এই সংস্থার ধূসর তালিকা (Grey list) থেকে পাকিস্তান মুক্তি পাবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। প্রসঙ্গত, গত দু’ বছর ধরে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পাকিস্তান। এবারও তাদের দেওয়া ২৭ দফার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছ’টি শর্তপূরণ করত ব্যর্থ হয়েছেন ইমরান খান ও তাঁর প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে এফএটিএফের প্রেসিডেন্ট মার্কস প্লেয়ার জানান, “পাকিস্তান ২৭টি শর্তের মধ্যে ২১টি পূরণ করেছে। নিসন্দেহে বিশ্ব আরও সুরক্ষিত হয়েছে। কিন্তু যে ছ’টি শর্তপূরণ হয়নি, সেগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলি দ্রুত পূরণ করা দরকার।”

[আরও পড়ুন : ‘ভারতকে দেখুন, কী নোংরা!’ জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে ভারতের সমালোচনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের]

ইমরান খানের দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দান ও অন্যান্য আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার। সূত্রের খবর ছিল সন্ত্রাসদমনে প্যারিস স্থিত ‘Financial Action Task Force’-এর তৈরি করে দেওয়া ২৭টি অ্যাকশন প্ল্যানের মধ্যে ছ’টি এখনও মেনে চলতে পারেনি পাকিস্তান। এদিন পাকিস্তানের সৎচেষ্টার দিকে নজর রেখে তাকে তালিকা থেকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল তুরস্কের সদস্যরা। এমনকী, অন সাইট ভিজিটের আবেদনও জানিয়েছিল, কিন্তু তাতে বাকি ৩৮ জন সদস্য রাজি হয়নি।

২০১৮ সালের জুন মাসে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৯ সালের মধ্যে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে অ্যাকশন প্ল্যানগুলি মেনে চলতে। পরে করোনা পরিস্থিতিতে এই ডেডলাইন পরে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাতেও সেই শর্তাবলি পূরণ করতে পারল না পাকিস্তান।

[আরও পড়ুন : লন্ডনের সাউথহলে বিস্ফোরণে ধসে পড়ল বাড়ি, মৃত কমপক্ষে ২]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement