shono
Advertisement

PM Modi: মোদিকে মানবাধিকার খোঁচা মার্কিন মিডিয়ার, ‘গণতন্ত্র আমাদের রক্তে’, পালটা প্রধানমন্ত্রীর

‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ মন্ত্রকেই মার্কিন ভূমে তুলে ধরলেন মোদি।
Posted: 12:01 AM Jun 23, 2023Updated: 01:20 PM Jun 23, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মার্কিন সফরে ফের ‘কাঁটা’ মানবাধিকার প্রসঙ্গ। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে যৌথভাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মোদি। আর সেখানেই তাঁর দিকে ধেয়ে আসে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বৈষম্য ও সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে প্রশ্ন। সটান জবাবও দে‌ন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

জনৈক মার্কিন সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনার দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছেন অনেকে এবং সংখ্যালঘু নিপীড়ন হয়েছে। এবিষয়ে কী পদক্ষেপ করছে আপনার সরকার?’’ উত্তরে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাষায় বলেন, ‘‘আমাদের রক্তে গণতন্ত্র রয়েছে। এটা আমাদের ডিএনএ’র অংশ। ভারতে বৈষম্যের কোনও জায়গা নেই। যে দেশে মানবাধিকার হরণ হয়, যেখানে বৈষম্যের আধিপত্য রয়েছে সেটা কী করে গণতন্ত্র হয়?’’

সেই সঙ্গেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভারতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ এসবের ভিত্তিতে কখনওই বৈষম্য হয় না। আমাদের সংবিধান গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এবং আমাদের সরকার সেই সংবিধান মেনেই কাজ করে। জনস্বার্থে যে সরকারি প্রকল্পগুলি রয়েছে তা সমস্ত যোগ্যরাই পান।’’ এইভাবে এদিন ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ মন্ত্রকেই মার্কিন ভূমে তুলে ধরলেন মোদি।

[আরও পড়ুন: রুদ্ধদ্বার আলোচনায় মোদি-বাইডেন, মার্কিন আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের ‘সুপার স্পাই’ও]

বাইডেনকেও প্রশ্ন করা হয়, মোদির সঙ্গে আলোচনায় তিনি মানবাধিকার প্রসঙ্গ তুলেছেন‌ কিনা। উল্লেখ করা হয়, তাঁরই প্রশাসনের একাংশ এই বিষয়ে তাঁকে চিঠি লিখেছেন‌। এই প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘‘আমরা দুই দেশই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অত্যন্ত সম্মান করি। এবং দুই দেশেই গণতন্ত্র মজবুত অবস্থায় রয়েছে।’’ 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বাইডেনের উদ্দেশে চিঠি লেখেন ৭৫ জন সেনেটর। তাঁদের দাবি ছিল, ভারতের বাকস্বাধীনতা নিয়ে মোদিকে প্রশ্ন করুন বাইডেন। ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, ইন্টারনেট বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি কেন, তা নিয়েও বাইডেনের কথা বলা উচিত বলে দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সেনেটর প্রমীলা জয়পাল-সহ ৭৫ জনের স্বাক্ষর সংবলিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “বিশেষ কোনও ব্যক্তি বা দলকে নিয়ে মাতামাতি করা ঠিক নয়। মার্কিন বিদেশ নীতির কয়েকটি আদর্শ রয়েছে, সেগুলি মনে রাখা দরকার। তাই মোদির সঙ্গে আলোচনার সময়ে আরও নানা বিষয়ের পাশাপাশি এই কয়েকটি কথাও মাথায় রাখতে হবে।” এরপরই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মোদির কথোপকথনের সময়ও উঠে এল সেই প্রসঙ্গ।

[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসে মোদির অভ্যর্থনায় ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’, মন কাড়ল মার্কিন ব্যান্ড, ভাইরাল ভিডিও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement