সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন দেশের সফরের প্রথম পর্যায়ে জর্ডনে পৌঁছলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার জর্ডনের রাজধানী আম্মানে তিনি পা রাখেন। সেখানে রাজকীয় অভ্যর্থনায় স্বাগত জানানো হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। উপস্থিত ছিলেন জর্ডনের প্রধানমন্ত্রী জাফর হাসানও। এরপর হোটেলেও মোদিকে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। সেখানে তিনি দেখা করেন প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও।
জর্ডনে পৌঁছনোর পর মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আম্মানে প্রবাসী ভারতীয়দের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত। ভারত-জর্ডন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে, তাঁরা যে ভূমিকা পালন করছেন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ।’ জর্ডনে পা রাখতে পেরে তিনি যে আনন্দিত সেকথাও ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি বৈঠক করেন জর্ডনের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবনে আল হুসেনের সঙ্গে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে মোদি বলেন, “এই উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভারত-জর্ডন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এবছর ভারত-জর্ডন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ তম বর্ষ। এমন সময় সে দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর নিঃসন্দেহে বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ। শান্তি, নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত-সহ একাধিক বিষয়ে দু'দেশের আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। জর্ডন সফর সেরে ১৬ ডিসেম্বর মোদি পৌঁছবেন আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায়। সেখানকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন। সবশেষে ১৭ ডিসেম্বর আরবের ওমানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তিন দেশে সফর সেরে ১৮ তারিখ দেশে ফিরবেন মোদি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে গোটা বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে মাঝেমধ্যেই বিদেশ সফরে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তা নিয়ে তাঁকে বিরোধী কম খোঁচা সহ্য করতে হয়নি। তবে এসব সফর যে আসলে সুসম্পর্ক স্থাপনের অনুকূলই হয়েছে, তারও প্রমাণ মিলেছে বারবার।
