সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুকুটে নয়া পালক। এবার ঘানার সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁকে ‘অফিসার অব দ্য অর্ডার অব দ্য স্টার অফ ঘানা’-এ সম্মানিত করলেন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন দ্রামানি মহামা। সম্মান পেয়ে আপ্লুত মোদি বলেন, “দু’দেশের বন্ধুত্ব গভীর হবে। দায়িত্ব আরও বাড়ল।”
প্রাধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ঘানার সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান পেয়ে আমি গর্বিত। এটি কেবল ব্যক্তিগত অর্জন নয়। বরং ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে আমি এটি গ্রহণ করছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারত-ঘানার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে। এই সম্মানের পর দায়িত্বও আরও বাড়ল।” সম্মানটি গ্রহণ করার পর মোদি তা ভারতের যুবসমাজ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং দু’দেশের বন্ধুত্বের প্রতি উৎসর্গ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই প্রথমবার ঘানায় গিয়েছেন মোদি। বুধবার বিকেলে তিনি আক্রার কোটোকা বিমানবন্দরে নামেন। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন ঘানার প্রেসিডেন্ট। সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। স্থানীয় রীতি মেনেও অভ্যর্থনা করা হয় তাঁকে। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছতেই মোদিকে ঘিরে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গাইতে শুরু ঘানার বাচ্চারা। হাসিমুখে তাদের গান শোনেন প্রধানমন্ত্রী, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী কয়েকদিনে একগুচ্ছ দেশে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ঘানা থেকে শুরু হল সেই সফর। বুধবার মাহামার সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। ভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আর্থিক-প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের আদানপ্রদান নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেখানে। বৃহস্পতিবার ঘানা থেকে ত্রিনিদাদ এবং টোব্যাগোর উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। আগামী শনিবার সেখান থেকে পৌঁছবেন আর্জেন্টিনায়। তারপর ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষে নামিবিয়া সফরে যাবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করা প্রথম দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল আর্জেন্টিনা। যেখানে ১৯৯০-এর দশকে দুটি বড় সন্ত্রাসী হামলা শিকার হয়, যাতে যথাক্রমে ৩০ এবং ৮৫ জন নিহত হন এবং অসংখ্য মানুষ আহত হন। জানা যাচ্ছে, মোদি আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি জাভিয়ার মিলির সঙ্গে দেখা করবেন এবং অ্যাজেন্ডার অন্যান্য তিনটি প্রধান বিষয় হল লিথিয়াম, কৃষি, এলএনজি এবং পারমাণবিক সহযোগিতা।
