সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোকাকোলা ও পেপসি। বিশ্বের দুই 'শীতল পানীয় দৈত্যে'র মধ্যে 'ঠান্ডা যুদ্ধ' অব্যাহত। একসময় ক্রিকেট বিশ্বকাপের 'অফিসিয়াল স্পনসর' হওয়া কোকাকোলাকে বিজ্ঞাপনী লড়াইয়ে হারিয়ে দিয়েছিল পেপসি। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও কোককে টেক্কা দিতে চমক দিল পেপসি।
১৯৯৬ সালে উপমহাদেশে আয়োজিত হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সেবার কোকাকোলাই ছিল অফিসিয়াল স্পনসর। কিন্তু বিজ্ঞাপনী স্লোগানে মাত করে দিয়েছিল পেপসি। তাদের বিজ্ঞাপনের ক্যাচলাইন ছিল 'নাথিং অফিসিয়াল অ্যাবাউট ইট'। শচীন তেণ্ডুলকর, বিনোদ কাম্বলি, মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করানো হয়েছিল। এবার ফের 'মাস্টারস্ট্রোক' দিল পেপসি। তিন দশক পরেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হল কোকাকোলাকে।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোকাকোলার বিজ্ঞাপনে জোর দেওয়া হয়েছে 'হাফ টাইম'-এর উপরে। টিভি ও ডিজিটাল মাধ্যমের প্রচারের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে খেলার বিরতিতে তাদের তৈরি ঠান্ডা পানীয়তে চুমুক দেওয়ার কথা। এখানেও পেপসি পালটা দিয়েছে। তাদের বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন 'এনিটাইম ইজ পেপসি টাইম'।
এই নিয়ে পেপসিকো একটি বিবৃতি পেশ করে বলেছে, ''যাঁরা এখনও 'নাথিং অফিসিয়াল অ্যাবাউট ইট' মনে রেখেছেন তাঁদের মনে রয়েছে, ওটা স্রেফ প্রচার ছিল না, ছিল একটা সাংস্কৃতিক মুহূর্ত। অডিয়েন্সের কাছে এই ব্র্যান্ড একটা অবসেশনে পরিণত হয়ে উঠেছিল। যা বুঝিয়ে দিয়েছিল জেতার জন্য সব সময় খুব শক্ত কিছু করার দরকার নেই। আর এবার কয়েক দশক পরে পেপসি সেই একই অনায়াস আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগাতে পেরেছে।''
প্রসঙ্গত, পেপসি বনাম কোকাকোলার এই লড়াই বরাবরই অসম্ভব জনপ্রিয়। গত শতকের আটের দশকে পেপসি শুরু করেছিল 'পেপসি চ্যালেঞ্জ'। তাতে দেখানো হয়, চোখ বাঁধা থাকলে জিভের স্পর্শে কোকের চেয়ে পেপসিকেই পছন্দ করছেন গ্রাহকরা। সেই শুরু। ১৯৮৫ সালে কোকাকোলা নিয়ে আসে 'নিউ কোক'। তারপর থেকেই স্লোগান, পালটা স্লোগানে জমে গিয়েছে তাদের বিজ্ঞাপন-যুদ্ধ। যা নতুন মাত্রা পেল ২০২৫ সালে এসে।
