সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে আমেরিকায় পৌঁছালেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা। ১৯৪৬ সালে সিরিয়ার স্বাধীনতার পরে শারাই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি আমেরিকায় এলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, শনিবারই শারাকে জঙ্গিদের কালো তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ওয়াশিংটন। সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন শারা।
গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে সরিয়ে ক্ষমতা হাতে তুলে নেন শারা। মে মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সিরিয়ায় মার্কিন দূত টম বারাক জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে মার্কিন নেতৃত্বে তৈরি আইএসআইএস বিরোধী একটি গোষ্ঠীতে শারা যোগ দেবেন বলে আশা ওয়াশিংটনের।
সিরিয়ার কূটনৈতিক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, 'মানবিক সহায়তা এবং সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক পর্যবেক্ষণের জন্য দামাস্কাসের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট নিশ্চিত করেছেন নিখোঁজ আমেরিকানদের খুঁজে বের করা এবং অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার বিষয়ে শারার প্রচেষ্টা দেখে তবেই জঙ্গি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে শারাকে।' আসাদের রাজত্বে সিরিয়ার পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে উন্নয়নের পথে এগোনর জন্য সিরিয়ার সরকারকে সহায়তা করবে আমেরিকা।
ওয়াশিংটন সফরের আগে সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রথম সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাষণ দেন শারা। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় রাষ্ট্রপুঞ্জ। শুধু তাই নয়, তাঁর প্রাক্তন দল, আল-কায়দার সঙ্গি হায়াত তাহরির আল-শামকেও জঙ্গি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে বসে প্রাক্তন আল কায়দা জঙ্গি আবু মহম্মদ আল জোলানি বা আহমেদ এল শারা। ফলে, বাশার আল আসাদের পতনে ‘সিরীয় বসন্ত’ বা গণতন্ত্রের নবোদয়ের স্বপ্ন খানখান বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রশ্নের মুখে দেশটির সংখ্যালঘুদের ভবিষ্যৎও। আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার যথেষ্ট প্রমাণও মিলেছে ইতিমধ্যে। এরপরেই মে মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন শারা। শিকি শতাব্দীর মধ্যে ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি কোনও সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। শুধু তাই নয়, বেনজির এই বৈঠকের আগে সিরিয়ার উপর লাগু কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করে ওয়াশিংটন।
