shono
Advertisement

Taliban Terror: ছাত্রছাত্রীদের একসঙ্গে পড়াশোনা নয়, প্রথম তালিবানি ‘ফতোয়া’জারি হেরাটে

কো-এডুকেশনই সমাজ নষ্টের মূল কারণ, মত তালিবান নেতাদের।
Posted: 09:13 PM Aug 21, 2021Updated: 08:02 PM Aug 23, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশিশক্তিতে যুদ্ধজয়ের পর দেশের শাসকের কুর্সিতে বসে ফলাও করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান বাহিনী। বলেছিল, শরিয়তে মহিলাদেরও অধিকার আছে। তাদের নিরাপত্তায় তালিবান যথেষ্ট যত্নবান। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারবে দেশের মেয়েরা। বোরখা আবশ্যিক নয়, তবে হিজাব পরতেই হবে। এমনই হাজারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

কিন্তু দিন ঘুরতে না ঘুরতেই কথায় আর কাজে আকাশ-পাতাল তফাৎ দেখিয়ে দিল জঙ্গিবাহিনী। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ফতোয়া জারি কর তালিবান (Taliban)। শনিবার হেরাট (Herat) প্রদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রথমেই ছাত্রছাত্রীদের একত্রে পড়াশোনা (Co-education) বন্ধ করে দিল তারা। এমনকী শিক্ষকদের মধ্যে লিঙ্গভেদ করে দেওয়া হল। মেয়েদের পড়াবেন কেবল শিক্ষিকারাই। আর ছেলেরা পড়বে শিক্ষকদের কাছে।

[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: নয়া সমীকরণ! তালিবানের হাত ধরলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির ভাই]

২০০১ সাল থেকে ২০২১। গত ২০ বছরে আফগানিস্তানের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কো-এডুকেশন ব্যবস্থা চালু ছিল। সকলে একসঙ্গে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু চলতি মাসে ‘কাবুলিওয়ালা’র দেশ তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর উঠল আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা। ফিরে এল পুরনো প্রথা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বত্র জারি একই নিয়ম। আলাদা ক্লাসরুমে বসবে ছাত্র ও ছাত্রীরা। ছাত্রীদের ক্লাস নিতে পারবেন শুধু মহিলারা। কোনও পুরুষ শিক্ষকের সেদিকে ঘেঁষার উপায় নেই। আর ছাত্রদের পড়াবেন পুরুষরা। সেখানে কোনও শিক্ষিকার স্থান নেই। শনিবার হেরাট প্রদেশে এমনই ফতোয়া জারি করল তালিবান বাহিনী।

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: খারাপ রান্না! যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহারের পর তরুণীকে পুড়িয়ে মারল জঙ্গিরা]

সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, এদিন হেরাটের সবকটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রায় তিনঘণ্টা ধরে বৈঠক করে তালিবান সদস্যরা। সেখানে তালিবান নেতা মোল্লা ফরিদ জানিয়েছে, সমাজ নষ্টের মূলে রয়েছে এই কো-এডুকেশন ব্যবস্থা। তাতেই যত সমস্যা। তাই ছেলে ও মেয়েদের একসঙ্গে কখনওই পড়াশোনা করা ঠিক নয়।সম্ভাব্য তালিবান মন্ত্রিসভার মোল্লা ফরিদ পেতে চলেছেন শিক্ষাদপ্তরের দায়িত্ব। তারই মহড়া হয়ত সেরে ফেলল সে।  আফগানিস্তান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের মত, এতদিনের প্রথা সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাতে হবে। তাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বেশ বেকায়দায় পড়বে। এই মুহূর্তে হেরাটেই শুধুমাত্র প্রায় ৪০ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement